মঙ্গলবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গলদা চিংড়ীর বাজার ধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ডুমুরিয়ার চাষীরা
গলদা চিংড়ীর বাজার ধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ডুমুরিয়ার চাষীরা
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া ।
গলদা চিংড়ীর দাম এবছর প্রতি কেজিতে ৩শ থেকে ৪শ টাকা কম হওয়ায় ডুমুরিয়ায় চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।বাজারে ধস নামায় কেড়ে নিয়েছে চাষীদের সোঁনালী সপ্ন ,কারোবা আবার মাথায় হাত।আড়ৎদাররা বলছে চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ এজন্য দায়ী। অপর দিকে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে আন্তজার্তিক বাজারে চাহিদা না থাকাই এর আন্যতম কারন। সব মিলিয়ে পথে বসতে চলেছে চাষীরা।তবে যে কোন সময় দাম পরিবর্তন হতেপারে বলে আশ্বাস্ত করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায় ডুমুরিয়ায় প্রায় ২৫হাজার,৮শ গলদা চিংড়ীর ঘের রয়েছে।চিংড়ীচাষে ডুমুরিয়া খুলনা জেলার শির্ষে।প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও চাষীরা ব্যাপক চিংড়ী চাষ করেছে। বুকে ধারন করেছিল সোনালী সপ্ন । কিন্ত‘ বিলিন হতে বসেছে সকল সম্বাবনার দ্বার।গত বছর যে চিংড়ীর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা।এবছর তার দাম ৯/১০শ টাকা।উপজেলার খর্নিয়া,ডুমুরিয়া শাহাপুর চুকনগর সহ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ, আড়ৎদার,ডিপো মালিক ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানাযায় বর্তমান মৎস্য মোকামে মাছের আমদানী খুবই কম। কখন বাড়বে মাছের দাম সে আশায় চাষীরা মাছ ধরছে না। যা কম-বেশী ধরা হচ্ছে তার আবার চাহিদা ও দাম কম।ঢিলে-ঢালা ভাবে চলছে বাজারের বেচাকেনা। গুটুদিয়ার মৎস্য চাষী শহিদ মোড়ল,বান্দার সুজিত মন্ডল,শোভনার আসাদুল ইসলাম ,কাপালিডাঙ্গার কার্তিক মন্ডল সহ অনেক চাষী জানান ,রেনু থেকে শুরু করে বড় করতে প্রায় ৬/৮মাস সময় লাগে।রেনু বা পিসমাছের মুল্য,খাবার,লেবার, জমির হারি সহ এক কেজি মাছ তেরী করতে যে খরচ,এখন তার কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।একান্ত টাকার প্রয়োজনে কিছু কিছু মাছ ধরতে হচ্ছে।মাছের দাম না বাড়লে আমাদের পথে বসতে হবে। ডিপো মালিক রোস্তম,শুকলাল,রূহল আমিন,নাহিদ সহ অনেকে জানান কোম্পানীতে মাছের রেট কম। তাই আমাদেরও কম দামে মাছ কিনতে হয়। আনোয়ারা মৎস্য মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গাজী মেহেদী হাসান বলেন কিছু কিছ’ অসাধূ মৎস্য ব্যাসায়ীরা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে এর বাজার ও চাহিদা নষ্ট করে ফেলছে।যার খেসারত সবাইকে দিতে হচ্ছে।গলদা চিংড়ীর বাজারে ধস কেন এবং কবে বাজার দর ফিরে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও মান নিয়ন্ত্রক প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন আমাদের চিংড়ী গুলি সাধারণতÍ আমেরিকা ও ইনল্যান্ডে রপ্তানী হয়ে থাকে। যেখানে কোর্ন্ডস্টোরে গত বছরের মাছ রয়েছে। ফলে চাহিদা কমের পাসাপাসি দামও কম। তিনি আরো বলেন ইতপুর্বে বাগদা চিংড়ীর দাম ও চাহিদা কম ছিল ।যা বর্তমান স্বভাবিক হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বৈদেশীক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দাম বৃদ্বির সম্ববনা দেখছিনা।