রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের কার্যক্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য জমির মালিকরা দাবী জানিয়েছেন
পাইকগাছায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের কার্যক্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য জমির মালিকরা দাবী জানিয়েছেন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার গদাইপুর মৌজায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের জন্য অধিকগ্রহণকৃত জমির মালিকদের নামে নিজাম সরদার বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। দেওয়ানী মামলা নং- ৬৯/১৮। উক্ত মামলা করায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করলে জমির মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ জন্য মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য জমির মালিকগণ দাবী জানিয়েছেন। তাছাড়া ৬৬৮ দাগের ঘোষ পরিবারের ৩৫ শতক ও ঋশি পরিবারে ৬৬৭ দাগে ১৬ শতক জমি না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছিল। তবে জমির মালিকদের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এ ঘটনায় ঘোষ পরিবার তাদের ৬৬৮ দাগের ৩৫ শতক জমি না দেওয়ার জন্য খুলনা সাব জজ ৪র্থ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। যার শুনানী সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘোষ পরিবারের এ্যাডঃ নিহিত কান্তি ঘোষ জানান, আমাদের জমির বাজার মূল্য শতক প্রতি মূল্য প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা। সেখানে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে শতক প্রতি প্রায় ৬২ হাজার টাকা। যা আমরা বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এবং আর্থিকভাবেও চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাছাড়া শুরু থেকেই আমাদের জমি অধিগ্রহণ না করে এ্যালোটমেণ্ট বদল করে জমি অধিগ্রহণ করার জন্য দাবী জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ সুরহা করেনি। সে জন্য আদালতের সরণাপন্ন হয়েছি। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের সাথে জমির ন্যার্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। সম্প্রতি তিনি ঘোষ পরিবারের জমির উপর প্রগতি, উন্নয়ন ও স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক এমপি খুলনা-৬ এবং শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সম্বলিত একটি ব্যানার স্থাপন করায় অধিগ্রহণকৃত ঘোষ পরিবারের জমির মালিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে একাধিক মামলা হওয়ায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু না করার জন্য জমির মালিকগণ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।