বুধবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ডুমুরিয়ায় মাগুরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর ধরে পরিত্যাক্ত ভবনে চলছে পাঠদান ঃ চরম ঝূঁকিতে শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়ায় মাগুরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর ধরে পরিত্যাক্ত ভবনে চলছে পাঠদান ঃ চরম ঝূঁকিতে শিক্ষার্থীরা
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া:
ডুমুরিয়ায় মাগুরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। নুতন ভবন বা বাড়তি কোন শ্রেনীকক্ষ না থাকায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।দির্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও এ সমাস্যার সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমসহ স্কুল ছাড়ছে অনেকে। তবে আশার কথা হল চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নুতন ভবনের কাজ
শুরু হবে, এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত
হয় মাগুরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বড় অবহেলিত এ বিদ্যালয়টি। শুরু
থেকেই বিদ্যালয়টি ছিল কাঁচা মাটির ঘর বিশিষ্ট। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ছাদ হয়নি বিদ্যালয়টিতে। একেতো টিনের ছাউনী ,তার উপর পরিত্যাক্ত। এটু বৃষ্টিতেই শ্রেনীকক্ষ তলিয়ে যায় পানিতে। আর বই-খাতাসহ অফিসের আসবাপত্রের কথাতো বলা বাহুল্য। এমনি ভাবে বছরের পর বছর কেটে গেলেও যেন মাথা ব্যাথা নেই কারো।যেন উদোর পিন্ডি চেপে আছে মাথার উপর। এ নিয়ে কথা হয় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষীকা শিপ্রা রানীরায় ও সভাপতি হিমাংশু মন্ডলের সাথে, তারা অভিযোগ ও অভিমান করে বলেন আশ্বাসে আশ্বাসে কেটে গেল প্রায় ১০ বছর। কোন সমাধান নেই আছে শুধু সান্তনা। এত কষ্ট ও ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলে না পাঠদান। উপয়ন্ত না পেয়ে পাশের মন্দির ও ক্লাব ঘরের দুটি রুম ও পরিত্যাক্ত ভবেনে চলাতে হচ্ছে পাঠদান। জানি না কখন কোন দূঘটনা ঘটে। বিষয়টি লিখিত ও মৌখিক ভাবে বহুবার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। পেয়েছি শুধু আশ্বাস আর হয়েছি আশ্বাস্ত। সম্প্রতি বৃষ্টিতে বই-খাতা ভিজে যায়,বসার জায়গা থাকে না বিধায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কম। এমনকি স্কুল ছাড়ছে অনেকে। কথা হয় বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র শুভজিৎ বাইন,আমিত বিশ্বাস,৪র্থ শ্রেনীর াত্রী নয়নী ঢালীসহ অনেকের সাথে। তারা তুলে ধরেন তাদের দূর্ভোগ ও কষ্টের কথা। তারা আরো বলেন আংকেল পত্রিকায় দিয়ে কি হবে ? এখানে কেউ নজর রাখে না। বাবা-মায়ের মুখে শুনেছি জন্ম থেকেই জ্বলছে বিদ্যালয়টি। আমাদের অনেক বন্ধুরা স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। আমরা কি করবো তাই ভাবছি। কেন স্কুলটি এত অবহেলিত ? এমন প্রশ্নের জবাবেপ্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিএম আলমগীর কবির বলেন আমি নুতন এসেছি, তবে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হবে। কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস‘র সাথে তিনি জানান বিদ্যালয়টি তালিকা ভূক্ত হয়ে আছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নুতন ভবনের কাজ শুরু হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও সভাপতি খান আলী মুনসুর বলেন আসছে শুকনা মৌসুমেই এর কাজ শুরু হবে।