বুধবার ● ৩ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সব দলই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ
সব দলই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ
এস ডব্লিউ নিউজ।
কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে, আর কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে না- সেটা ওই দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সব দলই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফিরে ওই অধিবেশনসহ যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যথাসময়েই নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ ভোটও দেবে। এই দেশে তো অনেক রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে কোন দল আসবে, আর কোন দল আসবে না, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে প্রধান বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে চেয়েছিলাম। তখন তার সাড়া দেয়নি। যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের নিয়ে আমরা সরকার গঠন করি।
এ প্রসঙ্গে আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জোট তো আছে। আর যারা আসতে চায় (সরকারে), আসবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের নিয়ে আমরা সরকার করলাম। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলো। আর তারা নির্বাচন ঠেকাতে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। আপনারা কাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যাদের কাছে মানুষের গুরুত্ব নেই? আপনারা তো সাংবাদিক, আপনারা কি খোঁজ নিয়েছেন? যারা মারা গেছে, তারা তো গেছেই। কিন্তু যারা পোড়া শরীর নিয়ে বেঁচে আছে, তাদের খোঁজ নিয়েছেন? নেননি। ৩ হাজার ৯শ মানুষকে তারা পোড়ালো, এসব পুড়ে যাওয়া মানুষের খোঁজ নেবেন।
বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের উর্বর ভূমি। কিছু মানুষ সবসময় অপেক্ষা করে, মানুষ ভালো থাকলে যেন তারা ষড়যন্ত্র করতে পারে। এই বাংলাদেশের বাংলাদেশের যে এত উন্নতি, এর সবকিছুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যা করা হলো। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা আর দেশের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। আজ কি দিন বদল হয়নি? মানুষ খাবার পাচ্ছে না?- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখতে হবে, আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা শুধু দুই বোন বেঁচে আছি। গতকাল (২ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই দেশটি ভূমিকম্প আর সুনামিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভোট দুই ধরনের। একটা ভোট আওয়ামী লীগের, আরেকটা এন্টি আওয়ামী লীগের। তো বিরোধী জোট বড় হচ্ছে, তারা সুষ্ঠ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাক। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আমি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেব কেনো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষোদ্গার ও ‘নোংরামি’র বিরুদ্ধে লড়তেও কাজে লাগবে।
এর আগে শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের ইমেজকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ছয় দিনের জাতিসংঘ সফরে ১৮টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে আমরা এবার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরেছি।
কোটা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা যদি না থাকে সংস্কারের প্রশ্ন উঠবে না।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।