শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় নিষিদ্ধ গাইড বই গ্রাস করেছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় নিষিদ্ধ গাইড বই গ্রাস করেছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
১০৩৩ বার পঠিত
রবিবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডুমুরিয়ায় নিষিদ্ধ গাইড বই গ্রাস করেছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

---
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া, খুলনা।
ডুুমুরিয়া উপজেলায় নিষিদ্ধ নোট গাইড বইয়ের বানিজ্যে জড়িত সরকারি বেসরকারি এক শ্রেণীর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষক নেতারা ও স্থানীয় শিক্ষক সমিতির কতিপয় ব্যক্তি। যে কারনে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রাস করেছে নিষিদ্ধ গাইড বই। ইতিমধ্যে ২০১৯ সালের গাইড বই বাণিজ্যের জন্য শিক্ষক সমিতির সহযোগিতা নেওয়ার জন্য প্রকাশকগণ দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।
চলতি ২০১৮ সালের নিষিদ্ধ গাইড বই প্রত্যেক স্কুলের শিক্ষার্থীরা অধিক মূল্যে ক্রয় করে লেখাপড়া করছে। স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের দিয়ে তিন প্রকারের বই ক্রয় করানো হয়েছে। প্রথমে ক্রয় করতে হয়েছে নিষিদ্ধ গাইড, দ্বিতীয় বার টেষ্ট পেপার, ও তৃতীয় বার চুড়ান্ত সাজেশন বই যা অভিভাবকদের ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন স্যার যখন যে নোট গাইড কিনতে বলেছেন আমরা সেই গাইড বই কিনেছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলায় শিশু শ্রেণীতে ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির বই মাধ্যমিক স্তরের মিজান লাইব্রেরি এবং চৌধুরী এ্যান্ড হোসেন প্রকাশনীর বিভিন্ন বই ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডোনেশন দিয়ে নিষিদ্ধ সহায়ক ও অনুশীলনমুলক বইয়ের একচেটিয়া বাণিজ্যে লিপ্ত আছে হাচান বুক ডিপো, আল ফাতাহ পাবলিকেশন্স বা ক্যাপটেন পাবলিশার্স নোট-গাইড ও সহায়ক বই ছেপে শিক্ষা বাণিজ্যে লিপ্ত। চলতি শিক্ষাবর্ষে একচাটিয়া বানিজ্য করেছে অনুপম গাইড। এছাড়াও মীম প্রকাশনী ও স্বপ্নীল প্রকাশনী, বই প্রকাশনী, বর্ণমালা প্রকাশনী, পপি গাইড, কাজল ব্রাদার্স, টিউটনস, স্টার গাইড, ইন্টারনেট গাইডসহ বিভিন্ন ব্রান্ডার নামে প্রাথমিক, ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড বই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। বছরের শুরুতে বিভিন্ন যানবাহন যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ও মাদ্রাসায়ের কতৃপক্ষকে ডোনেশন দিয়ে ১টি করে সৌজন্য গাইড বই দিয়ে আসেন বিভিন্ন প্রকাশনীর কতৃপক্ষ। উপজেলার জিয়ালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়, অশাধু শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক নেতারা প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যান্ত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ২০১৮ ছাপিয়ে প্রতি ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকায় দামে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া আরও দেখা যায় রানাই প্রাথমিক বিদ্যালয় জুটিশিয়াল গাইড, খর্ণিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাজ্ঞারি গাইড, শোভনা পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ শ্রেনীতে ইন্টারনেট ও ৪র্থ শ্রেনীতে গ্লাসক্সি গাইড, ভদ্রদিয়া ও শোভনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশার আলো। এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় প্রধান শিক্ষক নেতারা নেতার পরিচয় দিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে অনিয়ম দূর্নীতির কাজে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগও উঠেছে। এর পাশাপাশি বসে নেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতি প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের মাঝে ইংরেজী গ্রামার ও বাংলা ব্যাকরণ বিক্রয় করে থাকেন। তার পাশাপাশি নিষিদ্ধ গাইড বই কেনার জন্য স্বস্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকমন্ডলী শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়ে থাকেন। মাধমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানান, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে বর্তমান বছরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ও মাদ্রাসা মিলে ৩ হাজার ৮শত ৭০ জন শিক্ষার্থী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪ হাজার ৩২জন শিক্ষার্থী আছে। ডুমুরিয়া উপজেলার অশাধু কতিপয় শিক্ষক নেতা ও শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের পর বছর নিষিদ্ধ গাইড। শিক্ষকদের নির্দেশ অনুযায়ী অভিভাবকরা বাজার থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮ ফুলকুড়ির চুড়ান্ত প্রস্তুতি প্রশ্ন সাজেশন ও লেকচার বই কিনছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বলেন উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিদর্শন নিয়ম অনুযায়ী না করার জন্য শিক্ষার গুনাগত মান হ্রাস পাচ্ছে। অপার দিকে নিধিদ্ধ গাইডে গ্রাস করচ্ছে শিক্ষার্থীদের। জিয়ালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন আমি ডুমুরিয়া কম্পিউটারের দোকান থেকে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা আনিয়েছি এবং অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুবিধার জন্য তা কিনেছে। এবং  নিষিদ্ধ গাইড বই বিভিন্ন বাজারের বইয়ের দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা কিনতে পারে। এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আশুতোষ সরকার বলেন আমার জানা মতে নিষিদ্ধ গাইড বই কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ানো হয় না বা বিক্রির সঙ্গে শিক্ষা-সমিতির কোন সর্ম্পক নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন যদি কোন ছাত্র/ছাত্রী তাদের সুবিধা অনুযায়ী যে কোন বই কিনতে পারে। কিন্তু কোন স্কুলের শিক্ষকরা নিষিদ্ধ গাইড বই কেনার পরামর্শ দিতে পারবেনা।





অপরাধ এর আরও খবর

নড়াইলে মদ্যপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, অসুস্থ আরেক ছাত্রী নড়াইলে মদ্যপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, অসুস্থ আরেক ছাত্রী
নড়াইলে শিশু শাহিন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন নড়াইলে শিশু শাহিন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাইকগাছায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পাইকগাছায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা
নড়াইলে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা নড়াইলে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পোড়ার ঘটনায় দিশেহারা দিনমজুর পরিবার পাইকগাছায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পোড়ার ঘটনায় দিশেহারা দিনমজুর পরিবার
নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে সাজা ও পরোয়ানায় গ্রেফতার ৩ পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে সাজা ও পরোয়ানায় গ্রেফতার ৩

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)