শুক্রবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » কেশবপুরে তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি
কেশবপুরে তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে আলোচিত তিনটি অবৈধ ইটভাটা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকালে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম নওশদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমানের নের্তৃত্বে ফায়ার সার্ভিস র্যাব, পুলিশ পৌরসভার ভোগতি গ্রামের জামান ব্রিকস, উপজেলার কাস্তা-বারুইহাটি মোড়ে রোমান ব্রিকস ও সাতবাড়িয়ার সুপার ব্রিকস’র যাবতীয় ইট নির্মান সামগ্রী নষ্ট সহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এবং জেলা প্রশাসকের ইটভাটা বন্ধের আদেশের সাইনবোর্ড ইটভাটায় টানিয়ে দেওয়া হয়। গত বছরে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ তিনটিসহ নতুন ৫টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছিল এবং রোমান ব্রিকস এর মালিক মালিক আবুবক্কর সিদ্দিক ও পৌরসভার ভোগতির জামান ব্রিকসের মালিক মমতাজ বেগমকে জেল জরিমানা করে। এর পরও তারা ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় দমকল বাহিনীর মাধ্যমে পনি দিয়ে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় উৎসুক জনতা ভাটার অসংখ্য কাচা ইট নষ্ট করে দেয়। এবিষয়ে ভাটা বন্ধে অভিযোগকারী নুর আলী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন তারা খুব খুশি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান বলেন, প্রভাবশালী লোকেরা পরিবেশ আইন-২০১৩ না মেনেই ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ ভাবে ইটভাঁটা নির্মান করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে কেশবপুরের সকল ভাটা মালিককে অনুমতিপত্র চেয়ে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ১৫টি ইটভাটার মধ্যে তিনজন ছাড়া আর কেউ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। তাদের সাতদিনের সময় দেওয়া হয় বৈধ ছাড়পত্রের জন্য। কিন্তু তারা সেখানেও ব্যার্থ হয়ে অনুমতি ছাড়াই পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে। আবারও এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সাতদিনের মধ্যে উল্লেখিত তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার দুপুরের যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম নওশদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান, ডি এস ডি কাওসার আজম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এনামুলসহ পুলিশ, র্যাব, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাগরদাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, এস আই দিপক দত্ত, ভালুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই কামরুজ্জামান প্রমুখ ।