রবিবার ● ২৫ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভূমিখোররা রাস্তার মাটি বিক্রি করে পার পেয়ে যাচ্ছে! হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, প্রশাসন নিরব।
ভূমিখোররা রাস্তার মাটি বিক্রি করে পার পেয়ে যাচ্ছে! হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, প্রশাসন নিরব।
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি, ডুমুরিয়া কপালিয়া হরিনদীর তীর ঘেষে স্থানীয় একদল ভূমিদস্যু ২৪ নং পোল্ডারভূক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ীবাধ কেটে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ টি ট্রলি এ কাজে নিয়োজিত আছে। কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়: প্রতিদিন মাটিখেকো এসব দস্যুরা প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ ট্রলি মাটি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছে। যে কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। কপালিয়া মান্দ্রা ময়নাপুর সড়কটি তাই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে মাটি ভর্তি ট্রলি চলাচলের জন্য। জনসাধরণের চলাচল ও পরিবহণ ভারী সমস্যায় পড়েছে। বৃদ্ধ থেকে কোমলমতি শিশুরা প্রতিমুহূর্তে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। বালু আর ধুলা চারিদিকের বাতাস ভরে গেছে তাতে জনসাধরণকে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। মাটি বিক্রির সাথে স্থানীয় কপালিয়া গ্রামের আবু তালেব তরফদার জানান; প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ ট্রলি মাটি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এরা মাটি নিয়ে পার্শবর্তী কোমরাইল, বরুনা, কুমারঘাটা, রঘুনাথপুর, টোলনা, জামিরা, কালিবাড়িতে ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রলির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান; প্রতিদিন ১০-১২ লিটার তেল পাই, ভাড়ার কথা মালিক জানে। অবশ্য মাটি ভর্তি ট্রলি রাস্তা দিয়ে চলাচলে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী। মান্দ্রা-ময়নাপুর-কপালিয়া-চেচুড়ি সড়কটি এখন চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তায় থাকা সরকারি রাস্তার মাটি প্রতিনিয়ত কেটে নিয়ে এলাকায় দারুন দূর্দশার সৃষ্টি করেছে। সরকারি মাটি লোপাট হচ্ছে অথচ কর্তৃপক্ষ জানেনা। এসব মাটিখোকোদের সাথে কথা বলতে গেলে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। একাধিক সূত্রে জানা যায়; মাটি কাটার সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জড়িত। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন; এ বিষয়টি আমার জানা নেই। একদিকে হরিনদীর ভেড়ী বাধ অপর দিকে মান্দ্রা-ময়নাপুর-কপালিয়া সড়কের বেহাল দশা। আগামি বৃষ্টি মৌসুমের পূর্বে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সড়ক মেরামত না করলে ঐ গ্রামগুলি সীমাহীন সমস্যায় পতিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেছে এলাকাবাসী।