শনিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত
খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত
এস ডব্লিউ নিউজ:
‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সকালে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, এইডস একটি মরণব্যাধি। এইডস প্রতিরোধে সচেতনতাই বেশি জরুরি। আমাদের দেশে এইডস’র প্রকট তেমন বেশি না হলেও প্রতিবেশি দেশগুলোতে বিস্তারের হার অনেক বেশি। প্রতিবেশি দেশ থেকে যাতে এইডস ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
খুলনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এনজিও প্রতিনিধি মোঃ আব্দুর রহমান, নব কুমার সাহা এবং মোঃ আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা। সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে এতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সহযোগিতা করে। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, নার্স ও এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে এইচআইভির বিস্তার এবং এইডসের প্রভাব কমানো। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের ঋধংঃ ঞৎধপশ ঝঃৎধঃবমু ৯০-৯০-৯০ গ্রহণ করেছে, যার ফলে ৯০ শতাংশ সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তকে চিহ্নিত করা, চিহ্নিত ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশকে চিকিৎসা সেবায় আওতায় আনা ও চিকিৎসাধীনদের ৯০ শতাংশ এর ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখা। ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ১৩ হাজার জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। এর মধ্যে খুলনার রয়েছে তিনশ ৮৫ জন।
অনিরাপদ দৈহিক মিলনের ফলে, এইডস রোগের ভাইরাস রয়েছে এমন রক্ত শরীরে গ্রহণ করলে, অন্যের ব্যবহার করা ইনজেকশনের সূঁচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে, রোগের ভাইরাস বহনকারী মা হতে গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময় অথবা বুকের দুধের মাধ্যমে সন্তানের এইডস হতে পারে। এর থেকে প্রতিকার পেতে স্বামী-স্ত্রী ব্যতিত অন্য কোন নারী বা পুরুষের সাথে দৈহিক মিলন হতে বিরত থাকা, প্রয়োজনে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করা, রক্ত নেয়ার আগে রক্তদাতার রক্তে এইডস রোগের ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেয়া, প্রতিবার ইনজেকশন নেয়ার সময় নতুন সূঁচ ও সিরিঞ্জ ব্যবহার করা এবং এইডস রোগের ভাইরাস বহনকারী মায়েদের সুবিধা বা অসুবিধা বিবেচনা করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া।
আলোচনা সভার আগে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ অংশগ্রহণ করে।