মঙ্গলবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » মাগুরায় পিঠা বিক্রির আয়ে চলে সেলিমের সংসার
মাগুরায় পিঠা বিক্রির আয়ে চলে সেলিমের সংসার
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের সেলিম মিয়া দীর্ঘ ১০বছর ধরে পিঠা বিক্রির সাথে জড়িত। কেবল পিঠা নয় তিনি বিক্রি করেন নানা মুখরোচক সব খাবার। আর এ আয় থেকেই চলে তার সংসারের যাবতীয় ব্যয়ভার। সংসারের সব খরচ মিটিয়ে বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন তিনি।
শহরের জনবহুল এলাকাতেই তিনি এ ব্যবসা চালিযে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। বিশেষ করে শীত এলেই যেন তার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ভাপাপিঠা, চিতইপিঠা ছাড়াও ফুচকা, পিয়াজু, চপসহ বিক্রি করেন মুখরোচক সব খাবার। সেলিম মিয়ার পিঠা মানেই ভোজন রসিকদের কাছে খাবারের অন্য রকম স্বাদ। নিজের ভ্যান গাড়িতে করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অব্দি এসব খাবার বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা উপার্জন হয় তার। পিঠা তৈরীর জন্য নানা উপকরন সংগ্রহ করেন সেলিমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
কথা প্রসঙ্গে সেলিম মিয়া জানান, প্রতিদিন সকালে জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। বাবার রেখে যাওয়া ৩ শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছু নেই আমার। এ কাজ করার আগে আমি বাবুর্চি এবং রাজ মিস্ত্রির কাজ করতাম। দীর্ঘ ৮ বছর বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও আমি পিঠা বিক্রি করেছি। এক ছেলে ও দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে আমার সংসার। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলে মটর গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করে।
ভাপা পিঠ তৈরীর জন্য সাধারণত উপকরন হিসেবে লাগে চালের গুড়া, গুড় বা পাটালী, নারকেল স্বাদ বাড়াতে চেরিফল এবং কুমড়া (আঞ্চলিক ভাষায় চাল কুমড়া) দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরী মোরব্বা। এ সব উপকরন দিয়ে তবেই তৈলী করা হয় সুস্বাদু ভাপাপিঠা। প্রতি পিস পিঠা ১০টাকা করে বিক্রি করি। প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই শত পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে চলে আমার সংসারের যাবতীয় ব্যয়ভার।