শনিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছা উপজেলা সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের মত বিনিময় সভা
পাইকগাছা উপজেলা সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের মত বিনিময় সভা
এস ডব্লিউ নিউজ ঃ
কপিলমুনিতে পাইকগাছা উপজেলা সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের এক মত বিনিময় সভা গতকাল সকাল ১১ টায় কপিলমুনিস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক শেখ আব্দুস সালাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জোটের আহবায়ক সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, শেখ আব্দুল গফুর, এম আজাদ হোসেন, পলাশ কর্মকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, তপন পাল, এস এম আব্দুর রহমান, জি এম মোস্তাক আহমেদ, এ কে আজাদ, মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, অলিউল্ল্যাহ গাজী, শেখ সেকেন্দার আলী, জগদীশ দে, প্রবীর জয়, স ম নজরুল ইসলাম, এইচ এম শফিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বজলু, মোঃ আব্দুস সবুর, দীপ অধিকারী, সাইফুল ইসলাম, পলাশ মজুমদার, এইচ এম জিয়াউর রহমান, পবিত্র মন্ডল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাইকগাছা উপজেলা সদরে কর্মরত সাংবাদিকদের ১০টি পর্যাবেক্ষন কার্ড প্রদান করা হলেও উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত কপিলমুনিতে কোন সাংবাদিককে নির্বাচন পর্যাবেক্ষন কার্ড সরবরাহ না করায় ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। স্বাধীনতারপর এবারেই প্রথম সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্র্তৃক দক্ষিন খুলনার ঐতিহ্য খ্যাত কপিলমুনিতে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানীসহ নির্বাচন পর্যাবেক্ষন করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টা থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন ভিন্ন কথা কথা বলেন। সর্বশেষ রাত ৮ টায় ডিসি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ পাইকগাছা ও কপিলমুনিতে কর্মরত সাংবাদিকরা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন পরবর্তী এক সভা আহবান করে এহেন অশোভন আচারনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। যা বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে পাইকগাছার কয়েকজন সাংবাদিক পাল্টা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে “প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত বিষয়ের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই এবং নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে” মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিয়মান হয় যে, পাইকগাছায় নির্বাচন পর্যাবেক্ষন কার্ড প্রাপ্ত ১০ জন সাংবাদিকই পেশাদার সাংবাদিক। অন্যদিকে বঞ্চিত সাংবাদিকরা শুধুমাত্র নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আচরন ও কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মাত্র। প্রতিবাদ জানালে কর্তৃপক্ষ জানাবে, তাতে পেশাদারদের গাত্রদাহ হবার কি আছে ? তাহলে ধরে নেয়া অমূলক হবে না যে, কার্ড না দেয়ার পিছনে কতিপয় পেশাদারের হাত রয়েছে। সভায় এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও গঠন মূলক সমালোচনা যেমন নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে তেমনি অসত্য ও তথ্য বিবর্জিত সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। তোষামোদি, দালালী ও চাটুকারি সাংবাদিকতা বাদ দিয়ে সাংবাদিক নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আপোষহীন থেকে মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্রকে সমূন্নত রাখার জন্য দায়িত্বশীল হতে হবে। সকলকে সংবাদে ব¯তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে যে কোন সাম্প্রদায়িকতা এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানানো হয়।