বুধবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় ঈগলের চাপায় স্কুল ছাত্র মৃত্যু পথযাত্রী সড়ক অবরোধ,বিক্ষোভ,ভাংচুর অগ্নিসংযোগ গাড়ী জব্দ
পাইকগাছায় ঈগলের চাপায় স্কুল ছাত্র মৃত্যু পথযাত্রী সড়ক অবরোধ,বিক্ষোভ,ভাংচুর অগ্নিসংযোগ গাড়ী জব্দ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় প্রইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে ঢাকা গামী যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহনের ধাক্কায় সাব্বির নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ, গাড়ী ভাংচুর,বিক্ষোভ মিছিল সহ পরিবহন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশে মেইন সড়কের উপর এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ গাড়ীটি জব্দ করলেও চালক পালিয়েছে। হতভাগ্য পরীক্ষার্থী ভিলেজ পাইকগাছার ইটভাটা শ্রমিক মনছুর সরদারের একমাত্র ছেলে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পারিবারিক সুত্র জানাগেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, পাইকগাছা সরকারী হাই স্কুলের এসএসসি’র মেধাবী পরীক্ষার্থী সাঈদ মুনতাসির সাব্বির প্রাইভেট পড়ে বাই সাইকেল যোগে বাড়ীতে ফিরছিলেন। এ সময় পৌরসভা কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহনটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশে মেইন সড়কের সামনে বাই সাইকেল আরহী সাব্বিরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মাথা ফেঁটে ঘটনাস্থলে তাঁর নাক- মুখ দিয়ে রক্ষ ক্ষরণ হয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হলে কর্তব্যরত টহল পুলিশের এসএই মহিউদ্দীন তাঁকে দ্রুত পাশের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেস্কে নিয়ে যায়। এখানে চিকিৎসাকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় নিয়ে যাবার পরামর্শ দিলে ১০ টার দিকে খুলনা -২৫০ শর্যা, দুপুরে গাজী মেডিকেলে এর পর সার্জিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সহপাঠীর আহতের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ স্কুল ও কলেজ ও পথচারীরা বিচারের দাবীতে ঘটনাস্থলে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ আশস্ত করলে ক্ষোভ প্রশমিত হয়। এ সময়ে সাব্বিরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা মাঠে নেমে ৬/৭ টি বাসের গ্লাস ভাংচুর করে ঈগল পরিবহন কাউন্টারে আগুন দেয়। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে হাতে আগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে এসএই মহিউদ্দীন, স্কুল ছাত্র খালিদ, ওয়ালিদ সহ কয়েকজন আহত হন বলে স্কুল প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানিয়েছেন। মুহুর্তেই পৌর সদরের সকল স্কুল আঘোষিত ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে দুপুরে গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে জিরোপয়েন্টে গাড়ী ঠেকিয়ে শ্রমিকারা যানচলা বন্ধ করে দিলে মানুষ চরম ভোগান্তীতে পড়ে।