সোমবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » বাগেরহাট জেলার রামপালে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে বিআইএফপিসিএল
বাগেরহাট জেলার রামপালে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে বিআইএফপিসিএল
এস ডব্লিউ নিউজ।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রামপালে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সামাজিক উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার
কোম্পানী (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
কোম্পানীর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট কর্মসূচীর আওতায় আজ
১৪ জানুয়ারী ২০১৯ (সোমবার) রামপালের রাজনগর ইউনিয়ন
পরিষদের মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি
কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থেকে রামপালের ১৫টি স্কুলে ও ৪টি কলেজে
৭৬টি পানির ফিল্টার এবং স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে
৩৫টি হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। পরে তিনি একই স্থানে
কোম্পানীর উদ্যোগে এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন
করেন। রাজগনর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত রোগী
বিনামুল্যে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা এই মেডিকেল ক্যাপ
থেকে গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্প-এর প্রকল্প পরিচালক
এস.সি পান্ডে সভাপতিত্ব করেন। উপ-প্রকল্প পরিচালক মো:
রেজাউল করিম, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল, পাওয়ার প্লান্টের
কনসালটেন্ট ক্লুসম্যান জুর্গেন বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান, খুলনা
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাবেক
সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশুসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
উপস্থিত ছিলেন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ৩০০ স্থানীয় ব্যক্তিকে চিকিৎস্যা
সেবা প্রদান করা হয়। দিন ব্যাপী এ ক্যাম্প হতে বিভিন্ন
রোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও বিনামূল্যে ঔষুধ
প্রদান করা হয়। ক্রমানয়ে এ ধরনের ক্যাম্প রামপাল উপজেলার অন্যান্য
ইউনিয়নেও আয়োজন করা হবে। একই সাথে প্রকল্প এলাকায় গত
প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় হতে স্থানীয় মানুষকে বিনামূল্যে
ডাক্তারের পরামর্শ ও ঔষুধ প্রদান করা হয়ে আসছে যা ভবিষ্যতেও
চলমান থাকবে।
প্রসংগত, বিআইএফপিসিএল প্রকল্প এলাকার আশে-পাশের
স্থানীয় মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকারের সামাজিক সেবা ও
উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে যার মধ্যে বিনামূল্যে
স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, স্থানীয় শিক্ষা ও
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা অন্যতম।