সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » সাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৫ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মধুমেলা শুরু
সাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৫ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মধুমেলা শুরু
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর)ঃ
দাড়াও পথিক বর জন্ম যদি তব! বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এসমাধী স্থলে (জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রী মধুসুদন! যশোরের সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ তীরে জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি রাজনারায়ণ নামে জননী জাহ্ণবী ! যশোর জেলা প্রশাসকের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্টপোষকতায় যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে ২২ জানুয়ারী শুরু হচ্ছে মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৭দিনব্যাপী মধু-উৎসব মধুমেলা ২০১৯। মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২২ জানুয়ারী সেই মাহেন্দ্রক্ষণ মধুমেলার উদ্বোধন। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উদযাপনের জন্য আয়োজক কমিটির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মধুপল্ল¬ী বর্ণিল সাজে সেজেছে। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলা সাহিত্যের কাল জয়ী মহাপুরুষ যুগশ্রেষ্ঠ অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্ম স্থান মাতৃভূমি পিতৃভূমি সাগরদাঁড়ী মধুপল্ল¬ীর প্রতিটি স্থান রং তুলির আঁচড়ে পর্যাটকদের জন্য আকর্ষনীয় মোহনীয় হয়ে উঠেছে। ২৫ জানুয়ারী কবির জন্ম দিন হলেও এস এস সি পরীক্ষার কারনে এবার মেলা আয়োজক কমিটি ২২ জানুয়ারী থেকে মেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মেলা ২২ জানুয়ারী শুরু হয়ে চলবে ২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত। সরাসরি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে এবার মেলায় থাকবে সার্কাস, যাদুপ্রদর্শনী, মৃত্যুকুপ এবং প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্যের স্টল। এ ছাড়া ৭দিন ব্যাপী মধুমেলার উম্মুক্ত মধু মঞ্চে প্রতিদিন থাকবে নাটক, যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসাবে মধু মেলার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ ইসমাত আরা সাদেক, সাংসদ আফিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ)অধ্যাপক ডাঃ মীর মোঃ নাসির উদ্দিন, রনজিৎ রায় সহ আরো অনেকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবার মেলায় বিদেশী পর্যাটক সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মধুপ্রেমী এখানে এসে ভীড় জমাবেন বলে আসা করছেন মেলা কমিটি। ১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দে ২৫ জানুয়রি মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী গ্রামে কপোতাক্ষ তীরে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতা জমিদার ও আইনজীবি রাজনারায়ণ দত্ত, মাতা জাহ্ণবী দেবী । মধুসূদন শৈশবে শিক্ষক হরলাল রায় ও সাগরদাঁড়ী শেখপুরা গ্রামের মৌলভী খন্দকার মখমল আহম্মেদের কাছে বাংলা ও ফারসি শিক্ষা লাভ করেন। সগরদাড়ীতে শৈশব কটিয়ে তিনি তার জন্মের ১০ বছর পর কলকাতার খিদিরপুরে চলে যান সেখানে বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞানার্জন করেন। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আবার তার জন্ম ভূমি সাগরদাড়ীতে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে তিনি মহাকাব্য মেঘনাথ বধ, ব্রজঙ্গনা, বীরঙ্গনা ও তিলোতমা সম্ভব রচনা করেন। ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দে ২৯ জুন কলকাতায় এই বরেণ্য কবি মৃত বরন করেন।