সোমবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘পিপিএম’ পদক গ্রহণ করবেন নড়াইলের পুলিশ সুপার
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘পিপিএম’ পদক গ্রহণ করবেন নড়াইলের পুলিশ সুপার
ফরহাদ খান, নড়াইল
অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দ্বিতীয়বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’-সেবা (পিপিএম) এর জন্য মনোনীত হয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। সোমবার ৪ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক তুলে দিবেন। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-২ এর উপসচিব ফারজানা জেসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এ পদক পাচ্ছেন।
প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় কাজের অবদানের জন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে ‘পিপিএম-সেবা’র জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এর আগে বিদেশিদের নিñিদ্র নিরাপত্তা দেয়ায় ডিএমপির ডিপে¬াম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের তৎকালীন ডিসি হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এ পদক গ্রহণ করেন তিনি। গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার আগে ও পরে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকে মাদক ও জঙ্গি নির্মূলে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। যার মধ্যে অন্যতম-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা, পারমল্লিকপুর, সরুশুনা, বাড়িভাঙ্গা খাল, লাহুড়িয়া, কোটাকোল, কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া, যাদবপুর, রঘুনাথপুর, সদরের চৌগাছা, হোগলাডাঙ্গার বিরোধ মীমাংসাসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ১২৯টি বিরোধ মীমাংসা করেছেন তিনি (জসিম উদ্দিন)।
জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের মধ্যম জাহানপুর গ্রামের মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ২০০৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি লাভ করেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০০৫ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদান করেন পুলিশ ক্যাডারে। দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষিত সুদীপ্ত কর্মময় জীবনের অধিকারী জসিম উদ্দিন ২০১০ সালে হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে নিজ অবদানের জন্য অর্জন করেন ‘জাতিসংঘ শান্তি মিশন পদক’।
এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, ‘পেশাগত জীবনে কাজের মূল্যায়ন আরো দায়িত্ব ও নিষ্ঠাবান করে তোলে। উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগায়।’ তিনি আরো বলেন, জঙ্গীবাদ, মাদক, ইভটিজিং ও সন্ত্রাসীরা সমাজ তথা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের নির্মূলে কাজ করে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সম্মানজনক। নড়াইলবাসীর সঙ্গে নিষ্ঠা ও আন্তরিক ভাবে কাজ করে যেতে চাই।
পারিবারিক জীবনে তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার চৌধুরী সুমি ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের সাবেক শিক্ষক। ছেলে ফাইজুম সালেহীন সামির যশোর ইংলিশ স্কুলের দশম শ্রেণির এবং মেয়ে সামিহা মুবাশ্বিরা রোজ নড়াইল সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।