শনিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় স্লুইচ গেটের নষ্ট কপাট দিয়ে শোলমারী নদীতে লবন পানি ঃ হুমকির মুখে ৩’শ একর ইরি-বোরো আবাদ
ডুমুরিয়ায় স্লুইচ গেটের নষ্ট কপাট দিয়ে শোলমারী নদীতে লবন পানি ঃ হুমকির মুখে ৩’শ একর ইরি-বোরো আবাদ
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া ।
ডুমুরিয়ায় শোলমারী স্লুইচ গেটের নষ্ট কপাট দিয়ে ভিতরে লবন পানি প্রবেশ করায় বোরো চাষে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে ওই পানি। ফলে প্রায় ৩’শ একর জমির বোরো আবাদ এখন হুমকির মুখে। ভেস্তে যেতে বসেছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। উপায়ন্ত না পেয়ে প্রতিকারের আশায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন দ্রুত এর সমাধান করা হবে। লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় দেড় যুগ ধরে লোলিট পাম্পের (এলএলপি) মাধ্যমে শোলমারী নদীর পানি দিয়ে স্থানীয় কৃষকরা ইরি-বোরো চাষাবাদ করে আসছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ওই নদী সংলগ্ন টিয়াবুনিয়া, জিলেরডাঙ্গা, পঞ্চু, ভেল্কামারী, জেলেরডাঙ্গা, বড়ডাঙ্গা, গুটুদিয়া, পাটকেলপোতা, বগারখোর, কালিদাশপুর, পাশখালী, বিলপাবলা, খড়িয়া বিলসহ আশপাশ এলাকায় প্রায় ৩’শ একর জমিতে ওই নদীর পানি দিয়ে ইরি-বোরো আবাদ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি শোলমারী ১০ ভেল্টের স্লুইজ গেটের কপাট নষ্ট হয়ে পড়ায় ওভারফ্লো হয়ে ভিতরে প্রচুর লবন পানি ঢুকছে। ফলে নদীতে থাকা মিষ্টি পানিও লবনাক্ত হয়ে পড়েছে। যা এখন বোরো চাষে ব্যবহারে সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের মধ্যে দারুন হতাশা বিরাজ করছে। আশূ এর প্রতিকার না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এলাকার শত শত কৃষক। ভেস্তে যাবে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। এ প্রসঙ্গে কৃষক শান্তুনু মন্ডল,কার্ত্তিক মন্ডল, বিমল মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, আমরা এই নদীর মিষ্টি পানির উপর নির্ভর করে প্রতি বছর বোরো চাষ করে থাকি। হঠ্যাৎ স্লুইচ গেটের নষ্ট কপাট দিয়ে ভিতরে লবন পানি প্রবেশ করায় ওই পানি ব্যবহার করতে পারছিনা। প্রায় ১৫দিন হলো ধান ক্ষেতে পানি দিে না পারায় তা ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। আশু এর প্রতিকার না হলে প্রায় ৩‘শ একর জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পথে বসবে ঋণগ্রস্থ শত শত কৃষক। এ বিষয়ে গেটের দায়িত্ব থাকা গেট খালাশী মমিন মোল্যা বলেন, গেট দিয়ে পানি উঠানো হয়নি। তবে কপাটে রাবার না থাকায় প্রতিদিন ওভারফ্লো হয়ে ভিতরে পানি ঢুকছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে কিনা ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবহিত করা হয়নি তবে করা হবে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (গুটুদিয়া ব্লকের) তুষার কান্তি বিশ্বাস বলেন, ইরি-বোরো ধান চাষাবাদে লবনাক্ত পানি কোন ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।