শনিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » লোহাগড়া প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ॥ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত খামারিরা
লোহাগড়া প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ॥ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত খামারিরা
ফরহাদ খান, নড়াইল।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন খামার মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ অসুস্থ গরু, ছাগল, হাস-মুরগিসহ গৃহপালিত বিভিন্ন প্রাণিদের নিজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা না দিয়ে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসার দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে করে সাধারণ মানুষ ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। প্রাণিদের ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না। এদিকে মুস্তাইন বিল্লাহ প্রায় আট যাবত লোহাগড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ডাঃ মুস্তাইন বিল্লাহ শুরু থেকেই বসবাস করে আসছেন।
লোহাগড়া উপজেলার কচুবাড়িয়া এলাকার ভূক্তভোগী গরু খামারি হায়দার বলেন, আমাদের পরিবারে ৩৫টি গাভী পালন করছি। তবে গাভী অসুস্থ হলে লোহাগড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে তেমন কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় না। মাঝে-মধ্যে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এতে ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে যশোর থেকে পশু চিকিৎসক এনে গাভীর চিকিৎসা করাতে হয়। দাসেরডাঙ্গা গ্রামের খামারি বাবলু মিয়া বলেন, লোহাগড়ার পশু হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না। সেখানে গরু নিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার চিকিৎসা না দিয়ে কম্পাউন্ডার দিয়ে এ কাজ করান। গন্ধবাড়িয়া গ্রামের মুরগি খামারি ফারুক মোল্যা জানান, মুরগির রোগবালাই হলে লোহাগড়া পশু হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা দেয় না। পাঁচুড়িয়া গ্রামের গরু খামারি ইকবাল শেখ জানান, কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা আবাসিক বাসা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। পদ্মবিলা গ্রামের সাইফুল শেখ ও নাসির উদ্দিন বলেন, ডাঃ মুস্তাইন বিল্লাহ বেশির ভাগ খামারিদের কোনো মূল্যায়ন করেন না। লোহাগড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ দাবি করে বলেন, বিভাগীয় কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে আমি এখানে (অফিস) বসবাস ও ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। আর আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত চলছে। কোন বিভাগীয় কর্মকর্তার অনুমতি দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।