বুধবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আম বাগান মুকুলে ভরে গেছে
পাইকগাছায় আম বাগান মুকুলে ভরে গেছে
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
ঋতু চক্রে শীতকাল শেষ হয়েছে। ফাগুন হাওয়ায় আমের মুকুল দোল খাচ্ছে। পাইকগাছায় আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে। সোনালি হলুদ রঙের মুকুলে ঢেকে গেছে গাছ । বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। বাগান জুড়ে শুধু মৌমাছির গুঞ্জন। গাছে গাছে মুকুলের এ সৌন্দর্য আর মৌমাছির গুন গুন শব্দে সবার মন কাড়ে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রান। বাতাসে মিশে সৃষ্টি হচ্ছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমহিত করে। পাশাপাশি আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে মধু মাসের আমেন মুকুল। ফুলে ফুলে মৌমাছি উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। আর এতে পরাগায়ন হচ্ছে ফুলের।
এ বছর পাইকগাছা উপজেলার আম গাছে মুকুল কিছুটা দেরিতে এসেছে। আম চাষী গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শেষ করেছে। ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও আম চাষীরা আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আমের মুকুলে ভরে অধিকাংশ গাছের ডাল নুয়ে পড়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে আম চাষী ও বাগান মালিকরা। প্রত্যাশিত ফলনের আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। কোথাও কোথাও এখনই আগাম বাগান কিনে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। পাইকগাছা বড় আম বাগানের মালিক বিরাশির অখিলবন্ধু ঘোষ, সনাতন কাঠির আমিন সরদার, গদাইপুরের মোবারক ঢালী, গোপালপুরের নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাগানে রূপালী, বোম্বাই লতা ও হিম সাগর, নেংড়া, রূপালী সহ উন্নত জাতের গাছের সংখ্যা বেশি। আম চাষী গদাইপুর গ্রামের মোবারক হোসেন ঢালী জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাগানের আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে এবং পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারা ভালো ফলনের আশা করছে।
পাইকগাছার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুুনি, রাড়–লী ও পৌরসভা ছাড়া বাকী ইউনিয়নে আম গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে মোট আম বাগান আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর আম বাগানে প্রচুর পরিমাণ মুকুল ধরেছে। কৃষি অফিস থেকে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক আম চাষী ও বাগান মালিকদের আমগাছ পরিচর্যায় পরামর্শ দিচ্ছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে তিনি এ বছর আমের আশানুরূপ ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।