শুক্রবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আশাশুনিতে চাঞ্চল্যকর মনোয়ারা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে প্রকৃত জড়িত আরেক আসামী গ্রেপ্তার
আশাশুনিতে চাঞ্চল্যকর মনোয়ারা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে প্রকৃত জড়িত আরেক আসামী গ্রেপ্তার
আশাশুনিতে চাঞ্চল্যকর মনোয়ারা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে
প্রকৃত জড়িত আরেক আসামী গ্রেপ্তার
আহসান হাবিব, আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনির গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর মনোয়ারা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর পশ্চিমপাড়া মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর মোড়লের পুত্র পলাশ (১৮)কে বরিশাল বন্দর থানার এ আলী ব্রিকস ফিল্ড থেকে আটক করেন। তার স্বিকারুক্তি মোতাবেক এসআই আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ধর্ষন ও হত্যার সাথে অপর আসামী সবুজকে গ্রেফতার করেন। সে আশাশুনির বলাডাঙ্গা গ্রামের মুনছুর আলি গাড়োয়ানের পুত্র। সে পুলিশের কাছে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষন ও হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তদন্তকারী কর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক এবং গ্রেপ্তারকৃত পলাশ ও সবুর জানায়, গত ১৮ অক্টোম্বর দিবাগত গভীর রাতে পলাশসহ ৫জন গাজীপুর গুচ্ছগ্রাম গ্রামের আব্দুল খালেক সরদারের কন্যা মনোয়ারার (২৫) ঘরে প্রবেশ করে। একাধিক ব্যক্তি মনোয়ারাকে ধর্ষন করে। এ সময় মনোয়ারা আপত্তি জানালে বা সকালে জনসম্মুখে ধর্ষকদের নাম প্রকাশ করবে এমন উক্তি করলেই ধর্ষকরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তবে গ্রেপ্তারকৃত পলাশ ও সবুর তাকে ধর্ষন বা সরাসরি হত্যা করেনি শুধু মাত্র ধর্ষকদের নির্দেশে হাত-পা চেপে ধরেছিল বলে পুলিশের কাছে শিকার করে। প্রসঙ্গতঃ একাধিক ব্যক্তি ধর্ষনের পর নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি শালিশে বৈঠকে আসা কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের আহম্মদ আলী মোড়লের পূত্র আফসার মোড়ল (৪০)কে শ্রীউলা অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে ১নং আসামী করে আশাশুনি থানায় ২৫(১০)১৫নং হত্যা মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আফসার মোড়লের ৩দিনের রিমান্ড অতিবাহিত হলেও তার নিকট থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারিনী বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান। তাছাড়া আফসার মোড়ল ধর্ষন ও হত্যার সাথে আদৌ জড়িত নহে বলে সদ্য গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত পলাশ ও সবুর দু’জনই একইভাবে পুলিশের নিকট স্বিকারুক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। পলাশের ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি গতকাল শেষ হলেও সবুর এখনও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় শুধুমাত্র দৈনিক পত্রদূতে আশাশুনির গাজীপুরে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে এক যুবতীকে হত্যার খবর প্রকাশিত হলে বিভিন্ন মহলে গাত্রদাহ ও জল্পনা কল্পনার ঝড় উঠে। কিন্তু পলাশ ও সবুর গ্রেপ্তার ও স্বীকার উক্তি মুলক জবানবন্দিতে প্রকাশিত খবর ও হত্যার প্রকৃত জট খুলতে শুরু করেছে।