শনিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছার কার্তিকের মোড়ে একের পর এক মটর সাইকেল স্লিপ করে দূর্ঘটনা ঘটছে
পাইকগাছার কার্তিকের মোড়ে একের পর এক মটর সাইকেল স্লিপ করে দূর্ঘটনা ঘটছে
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার মেইন সড়কে আগড়ঘাটা ও গদাইপুর মধ্যবর্তী কার্তিকের মোড় নামকস্থানে মটরসাইকেল স্লিপ করে একের পর এক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মটর সাইকেল চালকরা। গত ৭/৮ মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মটরসাইকেল স্লিপ করে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে এ দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। গত কয়েক দিনে ঘনকুয়াশা পড়ায় ভোর বেলায় রাস্তা ভিজে থাকে। রাস্তার পাশের বটগাছের পাতা থেকে কুয়াশার পানি পড়ে ভোর বেলা রাস্তা ভিজে থাকে। এ সময় উক্ত স্থানে কোন মটর সাইকেল চালক একটু অসতর্ক থাকলেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত ৩ দিনে ভোর বেলা ১১ টি মটরসাইকেল স্লিপ করে পড়েছে। দূর্ঘটনার শিকার পাইকগাছা সরকারি কলেজের প্রভাষক মোমিনুদ্দীন জানান, আমার মটর সাইকেলের গতি সিমিত ছিল। মোড় পার হওয়ার সময় কিভাবে পড়লাম বুঝতে পারিনি। খেয়াল করে দেখলাম, স্থানটি খুবই মসৃন, ফলে সামান্য শিশির পড়ে পিচ্ছল হচ্ছে। এটা নির্মান ত্রুটি কিনা আমার সন্দেহ হয়। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছরে এই স্থানে এ পর্যন্ত ৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। কার্তিক নামের এক হতভাগ্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কার্ত্তিক মোড় নামকরণ হয়েছে। মোড়টা বরাবরই খুবই বিপদজনক বলে তিনি জানান। স্থানীয় সিলেমানপুর গ্রামের সবুর সরদার ও জহির উদ্দীন সরদার জানান, বৃষ্টি ও কুয়াশা পড়লে মটর সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কয়েক মাস আগে একদিনে ১৮টি মটর সাইকেল দূর্ঘটনার কবলিত হয়। প্রথম একটি মটরসাইকেল উক্ত স্থানে পড়ে গেলে রাস্তার উপর মবিল ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঐ স্থান পার হতে গেলে একেরপর এক মটর সাইকেল পড়তে থাকে। তখন আমরা বাড়ি থেকে ছাই ও বালি এনে রাস্তার উপর দেওয়ার পর আর কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। সরেজমিনে গিয়ে উক্ত রাস্তার মোড়টি পিট একটু উচু বলে মনে হয় এবং রাস্তার পাশ একটু নিচু। এ কারণে মোড় ঘোরার সময় মটর সাইকেল স্লিপ করে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উক্ত রাস্তার মোড়টিতে দূর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন।