রবিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ার নরনিয়া খালের উপর নির্মিত আটলিয়া কালভার্টটি মাঝখান ভেঙ্গে পড়ায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা।
ডুমুরিয়ার নরনিয়া খালের উপর নির্মিত আটলিয়া কালভার্টটি মাঝখান ভেঙ্গে পড়ায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা।
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি।
ডুমুরিয়ার চুকনগরে সেঞ্চুরী ফিলিং ষ্টেশন হতে আটলিয়া গ্রাম অভিমুখী রাস্তা দিয়ে নরনিয়া খালের উপর নির্মিত মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বাদুড়িয়া গ্রামের যাওয়ার একমাত্র আটলিয়া কালভার্টটির মাঝখান থেকে ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম্য রাস্তা দিয়ে আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের সংযোগস্থল নামে খ্যাত নরনিয়া খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি প্রায় দুই/তিন মাস আগে ৪/৫হাত এলাকা জুড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। কালভার্টটির তল দেশের লোহার শিক গুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কালভার্টের দুই পাশ দিয়ে দেয়া পিলার গুলোর প্রতিনিয়ত ধসে পড়ছে। এর তলদেশে আড়াআড়ি বরাবর ৪/৫টি ফাটল ধরেছে। এক কথায় বলা যায় কালভার্টটির ধারণ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রায় ৩০/৩৫বছর আগে নরনিয়া খালেন উপর দুই ইউনিয়নের জনসসাধারণের চলাচলের জন্য সহজ পথ বিবেচনা করে আটলিয়া মোড় নামক স্থানে এটি নির্মান করা হয়। এ কালভার্টের উপর দিয়ে আঁঠারমাইল বাজার হতে ভিতরের রাস্তা দিয়ে চুকনগর যশোর মহাসড়কে উঠা যায়। চুকনগর সেঞ্চুরী ফিলিং ষ্টেশন হতে আটলিয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাদুড়িয়া, ঘোষড়া শিরাশুনি ও হিজেলডাঙ্গা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়ে এ পথ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করে। কিন্তু সেই অবধি আজ পর্যন্ত কেউ এটির দিকে নজর দেয়ার সময় পায় নি। বর্তমানে কালভার্টটি একেবারে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী। তাই আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান সহ উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে এখানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মান করা হোক। তা না হলে এই এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তীর স্বীকার হবে।