বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজনীতি » শেষ মুহূর্তে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে
শেষ মুহূর্তে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
শেষ মুহূর্তে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রচারণায় কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩৬জন। ভোটারদের মন জয় করতে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার মাইকে প্রার্থীর পক্ষে কেরর্ডকৃত গুণকীর্তন ও বক্তব্য উপজেলা ব্যাপী প্রচার করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীরা নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে। হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রার্থীরা নানারকম প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন। আর ভোটাররা চাইছে নির্বাচনে যোগ্যপ্রার্থীকে বেঁছে নিতে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। কে কাকে ভোট দিবে, তা নিয়ে মাঠে-ঘাটা, চায়ের দোকান, রাস্তা-ঘাটে আলোচনা-পর্যালাচনার ঝড় বইছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। অপরদিকে একই দলের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব রশীদুজ্জামান মোড়ল আনারস প্রতীক, উপজেলা আওয়াম লীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ শেখ আবুল কালাম আজাদ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণায় মুখরিত হচ্ছে পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা। ভোটারদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে জানা যায়, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই নৌকার পালে হাওয়া লাগছে। নির্বাচনে গাজী মোহাম্মদ আলীর নৌকা প্রতীক জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ভোটরা ধারণা করছে। তাছাড়া নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থী কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ নির্বাচনে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে। তবে ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নৌকা প্রতীকের জন্য পাশ করা কিছুটা সহজ হবে বলে ধারণা করছে ভোটাররা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে কৃষ্ণপদ মন্ডলের প্রতীক হচ্ছে টিউবওয়েল প্রতীক ও আওয়ামী লীগনেতা শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলুর তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে ভোটাররা ধারণা করছে। এ পদে অপার দুই প্রার্থী শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকারের টিয়া পাখি প্রতী ও উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি দেবব্রত রায়ের চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুমা বেগমের প্রতীক হচ্ছে হাঁস, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ময়না খাতুনের ফুটবল, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমাতুজ্জোহরা রূপার কলস, উপজেলা যুবলীগের সাবেক মহিলা সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য নাজমা কামালের ফ্যান, মহিলা আওয়ামী লীগের পৌর সভাপতি শেখ জুলির প্রজাপতি ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিপিকা ঢালীর প্রতীক পদ্ম ফুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ চলছে। কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। তবে লিপিকা ঢালীর অবস্থান দিন দিন ভাল হচ্ছে বলে ভোটাররা জানিয়েছে। তবে নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করবে ভোটারদের উপরে। কে জয়লাভ করবে তা জানার জন্য ৩১ মার্চের নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।