বৃহস্পতিবার ● ১১ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় শাহাপুর-দৌলতপুর সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ঃ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তপক্ষ
ডুমুরিয়ায় শাহাপুর-দৌলতপুর সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ঃ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তপক্ষ
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে পূনঃনির্মানাধীন শাহাপুর-দৌলতপুর সড়ক নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নি¤œ মানের ইট ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। এতে খুশী হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসি। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শাহাপুর-দৌলতপুর অভিমুখে একটি জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক রয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করে। ইতোপূর্বে সড়কটি বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে পরিনত হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ে। গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি বেহাল দশা ও জনদূর্ভোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ সড়কটি ৮ কিলোমিটার পূনঃনির্মাণের লক্ষে টেন্ডার ঘোষনা করে। ঘোষিত টেন্ডার অনুযায়ী সাতক্ষীরার পলাশপোল এলাকার ঠিকাদার মোঃ ইকবাল জমার্দ্দার এ কাজের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এজন্য বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লীসড়ক অবকাঠামো পূনর্বাসন (এফডিআর) প্রকল্প ও সড়ক সংস্কার প্রকল্পের যৌথ অর্থায়নে কাজটি নির্মাণের জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বছরের ৪ মার্চ থেকে শুরু করে ৩ আগষ্ট’র মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার লক্ষে যথাযথ সয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরু করে। কিন্তু শুরুতেই দেখা যায় নানা অনিয়ম। ব্যবহার করা হয় নি¤œমানের ইট,খোয়া যাহা রোলারে পিষ্ট হয়ে ধূলায় পরিনত হয়ে পরিবেশ দূষিত করতে থাকে। এ অনিয়ম সইতে না পেরে এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সরনাপন্ন হয়। এ নিয়ে কথা হয় রামকৃষ্ণপুর এলাকার নিরঞ্জন মন্ডল,হিমনাথ বাওয়ালী,সুশান্ত মন্ডল,থুকড়ার শাহাবুদ্দিন গাজীসহ অনেকের সাথে। তারা অভিযোগ করে বলেন,রাস্তায় অত্যন্ত নি¤œমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে,যা একটু আঘাতে গুড়া হয়ে যাচ্ছে। এরকম জিনিস রাস্তায় ব্যবহার করলে ৬ মাসের মধ্যে আবারও যা ছিলো তাই হবে। এ নিয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। এভাবে প্রায় ৩ কিলো সড়কে নি¤œমানের ইট ও খোয়া দিয়ে রোলার দিয়েছে। উপায়ন্ত না পেয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,নি¤œমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করায় কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ওই ইট ও খোয়া উঠিয়ে মানসম্মত ইট দিয়ে পুনরায় কার্যক্রমের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মোঃ ইকবাল জমার্দ্দার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন,কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়নি,এমনিতে বন্ধ রাখা হয়েছে।