বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনিতে পাশন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা চেষ্টা ব্যর্থ
আশাশুনিতে পাশন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা চেষ্টা ব্যর্থ
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনি সদরের কোদন্ডায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী ইটভাটা শ্রমিক আবুল কাশেম (২১)কে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের কোদন্ডা গ্রামের মৃত নওশের মোল্যার ছেলে ঘাতক স্বামী আবুল কাশেমের বাড়ীতে। হত্যার স্বীকার স্ত্রী শাহিদা খাতুন (১৮) ওই গ্রামের মাজেদ গাজীর মেয়ে। তথ্যানুসন্ধানে ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘাতক কাশেমকে অর্ধ অচেতন অবস্থায় গুতিয়াখালী চর থেকে উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাশেম জানায়, বিগত প্রায় আট মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে শাহিদার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সে খর্ণিয়া ইটভাটায় কাজ নেয়। মাঝে মধ্যে সে বাড়ী ফিরলেও কারনে ওকারনে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার কাশেম বাড়ী ফিরলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কাথা কাটাকাটি যেন পিছ ছাড়ছিল না। এরই ধারাবাহিকতায় শাহিদা স্বামীর সাথে বিবাদ করে রাগে ঘরের বারান্দায় শুয়ে পড়ে। রাত ১২ টার দিকে কাশেম স্ত্রী সাহিদাকে ঘরে উঠে শুতে বলে। ঘরে না যাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কাশেম তাকে জোর করে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। ঘাতক স্বামী কাশেম ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীকে হত্যা করে খাটের উপর কাথা দিয়ে ঢেকে মশারি খাটিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। সকালে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাকে গুতিয়াখালী নদীর চরে কীটনাশক জাতীয় পান করে আত্মহত্যার চেষ্টায় অর্ধ অচেতন অবস্থায় গ্যাঙাতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাড়ী নিয়েই স্ত্রী শাহিদাকেও ঘর থেকে মৃতাবস্থায় কাথা দিয়ে ঢাকা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ রিপোর্ট লেকা পর্যন্ত লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং ঘাতক স্বামী কাসেমকে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যার স্বীকার শাহিদার পিতাকুলের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।