মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ার শত বছরের পুরাতন জামে মসজিদটি বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ফাটল, মূল ভবন ডেবে যাওয়াসহ হেলে পড়েছে।
ডুমুরিয়ার শত বছরের পুরাতন জামে মসজিদটি বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ফাটল, মূল ভবন ডেবে যাওয়াসহ হেলে পড়েছে।
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে শত বছরের পুরাতন জামে মসজিদটির বিভিন্ন স্থান হতে শতাধিক ফাটল ধরেছে। মূল ভবন মাটির নিচে ডেবে যাওয়াসহ হেলে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,সে সময় চুকনগর শহরে কোন মসজিদ না থাকার কারণে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য চাউল হাটা নামক স্থানে বৃটিশ আমলে ১৯৪৪সালে একটি মসজিদ নির্মান করা হয়। বর্তমানে এটি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর শহরের পুরাতন জামে মসজিদ নামে পরিচিত। কিন্তু মসজিদটির নির্মান শৈলি সেকেলে হওয়ায় ও অপরিকল্পিতভাবে নির্মান করায় এর মূল ভীত অত্যন্ত দূর্বল। তাছাড়া এটির বয়স প্রায় ৭৫বছর অতিবাতিহ হয়েছে। অথ্যাৎ স্বাভাবিক নিয়মেই এটি ভবন নির্মান কাঠামোর বয়স সীমা অতিক্রম করেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মসজিদের ছাদে খন্ড খন্ড আকারে ২০/২৫টি ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই ফাটল দিয়ে মসজিদের ভিতরে পানি পড়ে। ২য় তলার ছাদের অংশ (মুসল্লীদের নামাজের স্থান) আড়াআড়িভাবে ভবনের এ পাশ থেকে অপর পাশ পর্যন্ত ৮/১০টি ফাটল দেখা দিয়েছে এবং সামনের অংশ নিচের দিকে ঝুকে পড়েছে। মসজিদের চতুর পাশের সানসেট প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে পড়ছে। পুরো ভবনটি উত্তর দিকে মুল ভবন ছাড়া ২/৩হাত হেলে পড়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশের পুকুরের অংশের মাটির নিচে ডেবে গেছে। এছাড়া চতুর পাশের পিলারসহ মসজিদের ভিতরে প্রায় সবগুলো পিলারই ফাটল ধরে ভবন থেকে পৃথক পৃথক হয়ে গেছে। গত ৪/৫বছর ধরে মুসল্লীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করছে। তাছাড়া শুক্রবারে মুসল্লী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে ২য় ও ৩য় তলার ছাদ দুলতে থাকে। যে কোন সময় মসজিদের পুরো ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটনা আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই খুলনা ৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি,উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উদ্বোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী ও শহরের ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবী অনতিবিলম্বে প্রায় শত বছরের পুরাতন জরাজীর্ণ ও অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ এই জামে মসজিদটির ভবন পূর্ণরায় নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।