শনিবার ● ৪ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া
ফাইল ফটো ।
এস ডব্লিউ নিউজ: সরকারি সফরে লন্ডনে অবস্থানকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান আল্লাহর অসীম রহমতে বাংলাদেশে ফণীর আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেছেন।
আজ এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ফণীর আঘাত হানার পর এ পর্যন্ত দেশের ভেতরে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট খুবই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে আজ সকালে বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করে। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় ঘূর্ণিঝড়টি স্থলপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-সাতক্ষীরা অঞ্চল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। যার ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এরআগে, ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিশেষ দো’য়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুুর রহমান সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দুর্যোগ মোকাবিলায় গৃহীত প্রস্তুতি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো, বিশেষ করে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতার প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রমেরও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বাসস।