রবিবার ● ৫ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ডুমুরিয়ার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একটি ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান!
ডুমুরিয়ার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একটি ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান!
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ একটি ভবন অবশেষে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে খোলা আকাশের নিচে চলছে ছাত্রীদের অধিকাংশ শ্রেণির পাঠদান! শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড তাপদহ উপেক্ষা করে অতি কষ্টে মানবেতর ভাবে বাধ্য হয়ে অংশ নিচ্ছে পাঠদানে। এ নিয়ে হতাশায় রয়েছে ছাত্রী-অভিভাবক মহল। দ্রুততম সময়ে নতুন ভবন নির্মাণের দাবী করেছেন এলাকাবাসীর। স্থানীয় সূত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের ঐইকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর সদরে ১৯৭০ সালে বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সে থেকে চলতে থাকে আনুষ্ঠানিক একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৫’শতাধিক ছাত্রী অদ্যায়নরত রয়েছে। ২০ জন রয়েছে শিক্ষক ও কর্মচারী। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে পুরাতন ওই ভবনটির জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় স্বচিত্রসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অবশেষে কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে ব্যবহার উপযোগী ৮ টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। যাহা শিক্ষার্থী অনুপাতে চরম সংকট। তাছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ছাত্রী মিলনায়তন, নামাজ এবং প্রার্থনার কক্ষের সংকট রয়েছে। সর্বোপরি শ্রেণি কক্ষের অভাবে চরম সংকটাপন্ন ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। নিয়মিত পাঠদানে অধিকাংশ শ্রেণির পাঠদান দেয়া হচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নিচে। আর শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড তাপদহ উপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে পাঠদান গ্রহণ করছে। এ ঘটনায় ছাত্রী-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী নানা শংঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হোক। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম, অভিভাবক সদস্য রবীন্দ্রনাথ রায়সহ এলাকাবাসী ছাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে একটি নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল খুলনা সহকারী প্রকৌশলী গৌতম রায় এ প্রতিবেদককে জানান, ওই বিদ্যালয় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সুদৃষ্টিতে একাডেমিক ভবন বরাদ্দ হওয়া সম্ভব।