শনিবার ● ১১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির বুধহাটায় স্বর্ণের পয়সাসহ ডলার চক্রের দু’সদস্য আটক, মুচলেকায় এযাত্রায় মুক্তি
আশাশুনির বুধহাটায় স্বর্ণের পয়সাসহ ডলার চক্রের দু’সদস্য আটক, মুচলেকায় এযাত্রায় মুক্তি
আশাশুনি : আশাশুনির বুধহাটায় ডলার চক্রের দু’সদস্যকে স্বর্ণের পয়সাসহ আটক করে স্থানীয় ভাবে মুচলেকা নিয়ে এযাত্রায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানাগেছে, তালা উপজেলার মুড়াগাছা গ্রামের বাহাউদ্দিন সরদারের পুত্র ওছমান ও আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের খলিসানী গ্রামের মৃত. আলি গাজীর পুত্র নুরুল ইসলাম কুল্যা ইউনিয়নের ডলার চক্রের গডফাদার কুল্যা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র (দন্ত চিকিৎসক) মিজানের সাথে দীর্ঘদিন ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারবারের সাথে জড়িত। তারা স্বর্ণের পয়সা, ডলারসহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্য কম মূল্যে বিক্রয়ের প্ররোচনার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারবার করে আসছে। বুধবার সকালে ওছমান ও নূরুলকে স্বর্ণের পয়সা দেওয়া হবে বলে মিজান দু’জনকেই হাবাসপুর গ্রামের একটি নির্জন আম বাগানে ডেকে নেয়। আম বাগানে পৌছানোর পর মিজান ১৪শ পিচ স্বর্ণের পয়সার একটি পাত্র বের করে তার থেকে একটি নিতে বললে ওছমান ও নুরুল একটি পয়সা উঠিয়ে নেয়। এটি নিয়ে তারা এলাকায় কম মূল্যে স্বর্ণ বিক্রয় করার ফাঁদ পেতে ক্রেতাদেরকে ডেকে মিজানের কাছে এনে প্রতারনা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রওনা হয়। কুল্যা গ্রামের ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক রফিকুল জানান, তিনি মিজানের সাথে অনেক দিন ধরে চলাফেরা করেন। ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারবারের বিষয়টি আচ করতে পেরে রফিকুল তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে সন্দেহ জনক মনে হলে তাদের পিছু নেয়। এসময় ওছমান, নূরুল ও মিজান ইঞ্জিন ভ্যানে পাইথালীর দিকে রওয়ানা হলে রফিকুল কুঁন্দুড়িয়ার এক ইউপি সদস্য’র ভাইকে ফোনে বিষয়টি জানান। তিনি আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে পথিমধ্যে ভ্যান থামিয়ে তাদেরকে আটক করে স্বর্ণের পয়সা উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে রফিকুল জানায়। ফলে ডলার চক্রের ৩ সদস্য আইনের হাত থেকে এযাত্রায় রক্ষা পাওয়ায় এলাকার দীর্ঘদিনের ডলার চক্রের দাপট আবারও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। এঘটনা এলাকায় চায়ের দোকানে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সচেতন মহল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।