রবিবার ● ৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ায় রং করা ফল বিক্রয় করা হচ্ছে! প্রশাসন নিরব
ডুমুরিয়ায় রং করা ফল বিক্রয় করা হচ্ছে! প্রশাসন নিরব
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় সকল বাজারগুলোতে ফলের দোকানে রং করা আম, আনারস, কলাসহ নানা ধরনের ফল বিক্রয় হচ্ছে। সরকার বেকারীর খাবার সামগ্রীসহ অন্যান্য খাবারের মান তদারকি করলেও মোবাইল কোর্টে ফল ব্যবসায়ীরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চোখ ঝলকানো এই পাঁকা আম ও কলা খেয়ে জনসাধারণ পেটের পীড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব ফল পাঁকাতে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে। এর অন্যতম পদার্থ হচ্ছে কার্বাইট ও তুঁতে। তাছাড়া ধোঁয়ার ছেকা দিয়ে কলা পাঁকানো হচ্ছে। এসব রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে রং তৈরি করে বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীগণ। ডুমুরিয়া উপজেলার ফলবাজার, শাহ্পুর, শরাফপুর, মিকশিমিল, নতুন রাস্তা, খর্ণিয়া, আঠারো মাইল, চুকনগর, কাঁঠালতলা ও কৈয়া বাজার সহ ডুমুরিয়ার প্রায় ছোট-বড় ৫০টি বাজারের এসব ধরনের ফল বিক্রয় করা হচ্ছে। এসব পাঁকা ফল দেখলেই সবাই কেনার আগ্রহ দেখায় অথচ এই ফল পাঁকাতে যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা সাধারণ মানুষের একেবারের অজানা। এর কুফল সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিলাঞ্জন ঘোষ তুহিন (এমবিবিএস স্বাস্থ্য) বলেন, “সরকারি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বিসাক্ত কার্বাইট ব্যবহার সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ এটা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাকস্থলি ফুসফুসে ক্যান্সার ও ষ্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।” কথা হয়, ফল ক্রেতা সুভাষ পালের সাথে তিনি বলেন, ‘আমি একদিন আম কিনে বাড়ি যেয়ে রাতে খাওয়ার পর আমার বমি হয়ে গিয়েছিল।’ এ ব্যাপারে আরো কথা হয় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হাসান খান-এর সঙ্গে, তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা জানতে পারলে তাৎক্ষনিক আমাকে সংবাদ দিবেন, আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’ দীর্ঘদিন যাবত অসাধু কতিপয় ফল ব্যবসায়ী এদের এই বিশাক্ত পদার্থের তৎপরতায় অব্যহত রাখলে এই উপজেলায় ভবিষ্যতে নেমে আসবে মহামারী।