বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর
এস ডব্লিউ নিউজ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সপ্তম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকালে মোদির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ওই সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন । বৈঠকের শুরুতে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান তিনি। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে একটানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান মোদি। ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধসহ একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোদি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন আসাদুজ্জামান খান। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন। বৈঠকে এ এলাকার আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদি মনে করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক রোল মডেল বলে অভিহিত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবলোকন করার জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের কথাও বলেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জনাব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী। |