শনিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে: কালভাট ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ
ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে: কালভাট ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় কয়েক দিনের একটানা বর্ষণের পর শুক্রবার দিবাগত ভোর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারী বর্ষণে মৎস্য লিজঘের, সবজি ক্ষেত, নার্সারী, পুকুর, রাস্তা ও বসতবাড়ী তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়–লী উচু এলাকা হলেও বাকী ৭টি ইউনিয়ন নিচু এলাকায় অবস্থিত। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। তবে গত দিনের ভারী বর্ষণে উচু এলাকাও তলিয়ে গেছে। শনিবার সকাল ৯টার পর বৃষ্টি থামলেও উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীন রাস্তাগুলি পানিতে তলিয়ে থাকে। কয়েক’শ কাঁচা ও আঁধাপাকা ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির উঠানে পানিতে তলিয়ে থাকায় ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বিড়াম্বনায় পড়েছে।
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষরা কাজ করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় আর্থিক অনাটনের মধ্যে পড়েছে। পাইকগাছার সদর ইউনিয়ন গদাইপুরের কয়েক’শ নার্সারী ক্ষেত পানিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি ক্ষেত ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় জাল দিয়ে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে দেখা যায়।
বোয়ালিয়া ব্রীজ রোডের ফার্মের পাশে কালবার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাইকগাছা থেকে রাড়–লী ইউনিয়ন ও সাতক্ষীরা যাতায়াতের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টিতে বীজতলা ও বাড়ির উঠান পর্যন্ত তালিয়ে রয়েছে। সকালের তলিয়ে যাওয়া রাস্তা বিকালের দিকে পানি সরে যাওয়ায় রাস্তা জেগে উঠেছে। তবে এখনো বাড়ির উঠান ও সবজি ক্ষেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন জানান, বৃষ্টিতে অনেক কাঁচা ঘর পড়ে গেছে ও উঠানে পানি জমে রয়েছে। বোয়ালিয়া রোড়ের কালবার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জনগণের ভোগান্তিতে পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, দীর্ঘদিনপর বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েক দিনের হালকা বৃষ্টির সাথে গত শুক্রবারের ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই প্লাবিত এলাকা পানি সরে যাবে। এতে আমন চাষের জন্য অনেকটা উপকার হয়েছে। তাছাড়া পাট জাক দেওয়ার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় জলাশয় পুর্ণ হয়েছে। উপজেলায় এখনো আমনের বীজতলা তৈরী হচ্ছে। উচু এলাকার জন্য এ বৃষ্টি আমন চাষের জন্য ভাল হয়েছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হলেও আমন আবাদের জন্য উপকার হয়েছে।