রবিবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » সারাদেশ » ডুমুরিয়ায় নদীভাঙ্গন ঠেইতি না পারলি আমাগের পথে নামতি হবে! ডুমুরিয়ায় কালীভদ্রানদী দখল, ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ডুমুরিয়ায় নদীভাঙ্গন ঠেইতি না পারলি আমাগের পথে নামতি হবে! ডুমুরিয়ায় কালীভদ্রানদী দখল, ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
দেখতি দেখতি খইন্নে (খর্ণিয়া) বাজারে ভাঙ্গন ধইরে গেলো। আগে যেহানে ঘর বাড়ি আছিল তা এহন নদীর মধ্যি। আশেপাশের রাস্তাগুলাও এহন ভাঙ্গতিছে। ভাঙ্গন ঠেয়াতি না পারলি আমাগের পথে নামতি হবে।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ব্রিজের উপর দাড়িয়ে নদীর ভাঙ্গন সম্পর্কে এসব কথা বলছিলেন বৃদ্ধ আশুতোষ কুমার অধিকারী। বললেন, এলাকায় যারা নেতা নদীর পাড়ে তাগো বড় বড় ইটভাটা। চরের জমি ছাড়িয়ে ভাটাওয়ালারা নদী দখলও করেছে সব ভাটা মালিকরা। দিনের পর দিন খোয়া ও ভাঙ্গা ইট ফেলায় ¯্রােত এপাড়ে বাধাগ্রস্থ হয়ে ওপাড়ে আঘাত হানছে। ফলে আমার সকলি ভয়ের মইধ্যে আছি। খর্ণিয়া কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি পরিতোষ কুমার হালদার জানান, ‘কালী ভদ্রা নদীর পশ্চিম পাড়ের ০৩ (তিন)টি ইট ভাটার মালিকরা কৌশলে নদী দখল করেছেন। বাঁধ দিয়ে ইট, খোয়া, ফেলে ¯্রােত আটকিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে খর্ণিয়া বাজারের রানাই, ভদ্রদিয়াসহ আশপাশের শতাধিক ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাছে। ভদ্রদিয়া জামে মসজিদ ও খর্ণিয়া কেন্দ্রীয় পূজা মন্দিরও হুমকির মধ্যে রয়েছে। খর্ণিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, ভাঙ্গন রোধ করলে না পারলে খর্ণিয়া শোভনা, ও খর্ণিয়া-শোলগাতীয়া সড়ক নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। তাই ভাঙ্গন ঠেকাতে ইট ভাটার মালিকদের নদী দখলসহ সবধরনের অপতৎপরতা বন্ধে সচ্চার হয়ে হয়ে উঠেছে। ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়ার রানাই, ভদ্রদিয়া, আঙ্গারদহা, টিপনার মানুষ এমনই মন্তব্য করেছেন মোল্যা আবু মতিন, মোল্যা আবুল কাশেম, শেখ হযরত আলীসহ এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তি। খর্ণিয়া বাজার ব্যবসায়ীরা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকার সবার ভূমিহীন হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য ভদ্রানদীর পশ্চিমপাড়ে ইটভাটার মালিকরা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার প্রভাবশালী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।