বুধবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে আঁখ চাষে ব্যাপক সম্ভবনা
কেশবপুরে আঁখ চাষে ব্যাপক সম্ভবনা
এম আব্দুল করিম কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল যশোরের কেশবপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকা জুড়ে লতারি জরা ইশ্বরদী-১৬ ও গ্যান্ডারী জাতের আখঁ চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর আখঁ মৌসুমের শুরুতে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের বাদুড়িয়ায় আঁখের সর্ববৃহৎ হাট বসে। সড়কের দু’পাশ দিয়ে হাট বসায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও সুধীজন। আঁখ চাষী ও ব্যবসায়ীদের দাবী দেশের বৃহৎ আখ শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনার জন্য নিরাপদ বাজার ব্যবস্থায় সরকারী সহযোগিতা জরুরী।
সরেজমিনে কেশবপুর উপজেলার বাদুড়িয়া হাট ও আশপাশের এলাকা ঘুরে জানা গেছে, অনুকুল আবহাওয়া ও এই অঞ্চলের মাটি আাঁখ চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকরা তাদের ভাগ্য উন্নয়নে ১৯৯৫ সাল থেকে আখ চাষ শুরু করে। আখ চাষ করে অনেকেই এখন সাবলম্বী। যে কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা আখ চাষের প্রতি উৎসাহী হয়ে ওঠেছে। আখ চাষ লাভ জনক হওয়ায় কেশবপুরের দক্ষিণে বাদুড়িয়া গ্রাম থেকে শুরু করে মঙ্গলকোট, পাঁচপোতা, বসুন্তিয়া, রামকৃষ্ণপুর, বড়েঙ্গা, পাঁচারই, কেদারপুর, সাগরদাঁড়ী, টিটামোমিনপুর, ঝিকরাসহ অধিকাংশ গ্রামের জমিতে কৃষকরা আখ চাষ করে থাকে। প্রতি বছর আখের বাম্পার ফলন ভাল বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় চাষীরা তাদের আখের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় আখ চাষীরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ২০০০ সালের দিকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের বাদুড়ীয়া মোড় নামক স্থানে রাস্তার দুই পাশে আঁখের হাট বসিয়ে প্রাথমিক ভাবে আঁখ বেচাকেনা করে আসছে। প্রতিদিন কেশবপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদাহ জেলা সহ দেশের অসংখ্য স্থান থেকে পাইকারগণ বাদুড়ীয়া হাটে এসে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্রয় করছে। আখ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে দুর-দুরান্ত থেকে ট্রাক, পিকআপ, নছিমন, করিমন, আলমসাধু সহ বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন চালিত যানবাহন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভাল বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় সড়কের দু’পাশে হাট বসে আর পাইকাররা এই সড়কের পাশে গাড়ী পার্কিং করে থাকে। যার ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। তাই আঁখ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্টোপোষকতায় জায়গা বরাদ্দ দিয়ে ভাল বাজার ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির জোর দাবী জানিয়েছেন আঁখ ব্যাবসায়ীরা।
কেশবপুর উপজেলার কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন এ বছর ৫৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। আর বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যদি হাট কমিটির পক্ষ থেকে আবেদন পাই তাহলে রাস্তার পাশে খাস জমি থাকলে সেটি হাটের আওতায় নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।