সোমবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » খুলনায় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন
খুলনায় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন
এস ডব্লিউ নিউজ:
খুলনায় জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সোমবার দুপুরে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয় এবং খুলনা মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ইঁদুর ক্ষতিকর প্রাণি। এর উপকারের চেয়ে অপকার অনেক বেশি। মাঠ ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি এরা মানুষের ঘর-বাড়িতে বাস করে যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। গুদামে রক্ষিত খাদ্যশস্য নষ্ট ও দরকারি দলিল-দস্তাবেজ ধ্বংস করে। প্রায় ৬০ প্রকার রোগ বিস্তারের জন্য ইঁদুরকে দায়ি করা হয়। তাই ইঁদুর নিধন অভিযানের মাধ্যমে সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করা হয়। ইঁদুর নিধনের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে হবে। মানসম্মত ও ভেজালমুক্ত ইঁদুর মারার ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ইঁদুর আকারে ছোট হলেও এর ক্ষতির ব্যাপকতা অনেক। ২০১৩ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী কেবল এশিয়া মহাদেশে ইঁদুর প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট করে তা ১৮ কোটি মানুষের এক বছরে খাদ্য শস্যের সমান। কেবল বাংলাদেশেই ইঁদুর বছরে ৫৪ লাখ লোকের খাবার নষ্ট করে। এরা মানুষ ও পশুপাখির মধ্যে প্লেগ, জন্ডিস, টাইফয়েড, চর্মরোগ, আমাশয়, জ¦র, কৃমিসহ ৬০ প্রকার রোগের জীবাণু বহন ও বিস্তারে ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে গড়ে মাঠ ফসলের সাত শতাংশ এবং গুদামজাত খাদ্য শস্যের পাঁচ শতাংশ নষ্টের জন্য ইঁদুরকে দায়ি করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম ও খুলনা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির সদস্য শ্যামল সিংহ রায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার। অনুষ্ঠানে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৮ এর ইঁদুর নিধন কার্যক্রমে সফলতার ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক পর্যায়ের চারজন কৃষক যথাক্রমে- মোঃ আরিফুল ইসলাম, সুমিত্রা শীল, প্রশান্ত কুমার মন্ডল ও মামুন শেখ এবং তিনজন কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে- করুনা কান্তি সরকার, সরদার আব্দুল মান্নান ও বিপ্লব দাশ-কে পুরস্কৃত করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার লতা-খামারবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে ইঁদুর নিধনে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।