বুধবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমন ধান ক্রয়ে সাড়া না পড়ায় নীতিমালা শিথিল
পাইকগাছায় আমন ধান ক্রয়ে সাড়া না পড়ায় নীতিমালা শিথিল
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় সরকারী ভাবে আমন ধান সংগ্রহে সাড়া না পড়ায় উন্মুক্ত লটারী প্রথা সিথিল করে এখন কৃষি অফিসের মুল তালিকার ভিত্তিতে আমন ধান ক্রয়ের সিদ্ধন্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করে কৃষকদের ধান বিক্রয় করার উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত লটারী করে কৃষক নির্বাচন ও প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে প্রতি কৃষকের কাছ থেকে ১ মেট্রিক টন করে ধান ক্রয়ের জন্য একাধিক বার মাইকিং করে সাড়া মেলেনি। গত ২ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করলে ২২ দিনে এ পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রের কথা জানান খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান। তিনি আরোও বলেন, ১ টনের পরিবর্তে এখন ৩ টন করে ধান ক্রয় করা হবে। চিটা ও ধূলামুক্ত ধানের রং হবে উজ্জ্বল, সে জন্য কৃষকদের আকৃষ্ট করতে নীতিমালা শিথীল করে সর্বত্রই মাইকিং করা হচ্ছে। জানাগেছে, সরকারী ভাবে পাইকগাছা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন থেকে ১ হাজার ৭ শত ৯৬ মেট্রিক টন আমন সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত কাঙ্খিত সাড়া পড়েনি। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর ও কৃষকরা জানিয়েছেন। উপজেলার বাইনবাড়ীয়া গ্রামের জমির মালিক নিহার রঞ্জন সানা, বগুলার চকের আমর মন্ডল, গদাইপুরের রফিকুল ইসলাম বলেন। ধুর্নিঝড় বুলবুলের আঘাতে ধানের ফুলের ক্ষতি, পোকার আক্রমনে চিটা, ধান অপুষ্ট ও ধানের রং কালছে বর্ণের হয়েছে। এক পৌসে ৩ বার বৃষ্টিতে পাঁকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এখনো কৃষক ফসল উঠানেও তুলতে পারেনি। তাছাড়া বৃষ্টির জলে ভিজে ধানের সোনালী রং বিবর্ন ও সরকারী নিয়মে ধান বিক্রিতে ঝুকি ও খরচ বেশী সে জন্য কৃষক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সংশ্লিষ্ঠরা এখন নতূন নিয়মে আমন ক্রয়ের লক্ষমাত্রা পুরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।