রবিবার ● ২২ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » টেলিফোন না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগমন নয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভাগীয় কমিটির সভা
টেলিফোন না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগমন নয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভাগীয় কমিটির সভা
এস ডব্লিউ নিউজ:
জ¦র ও সর্দি-কাঁশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে না এসে প্রথমে টেলিফোনে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণকক্ষের চিকিৎসকদের থেকে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন। জেলা সিভিল সার্জনরা হাসপাতালভিত্তিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের মোবাইল নম্বরসমূহ প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ও দোকান ব্যতীত অস্থায়ী হাটসমূহের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। প্রয়োজন ব্যতীত জনবহুল স্থানে যাওয়া পরিহার করতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভা ও জেলা প্রশাসকদের সাথে করোনা প্রতিরোধের বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সে এসকল সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে রবিবার সকালে তাঁর সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানদ্বয়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় জানানো হয়, জ¦র ও সর্দি-কাঁশি থাকা মানেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নয়। এরূপ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে অযথা ভিড় না করে প্রথমে টেলিফোনে চিকিৎসা পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। প্রয়োজন মনে করলে স্বাস্থ্যবিভাগ রোগীর বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের নমুনা সংগ্রহ করবে। এছাড়া চায়ের দোকানে অযথা আড্ডা, অস্থায়ী হাট-বাজারে ঘোরাফেরা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। মসজিদের মাইকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয় বিষয়ে নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে।
আনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১ মার্চ হতে দেশে আসা বিদেশ ফেরতদের জেলাওয়ারী তালিকা ধরে শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে কাজ চলছে। সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদেশে ফেরত দুই হাজার ৫৬ জনের মধ্যে ৭৩৪ জনকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিদেরও অতিদ্রুত এর আওতায় আনা হবে।
সরকারের বিশেষ উদ্যোগে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা উপরকণসমূহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আতঙ্ক পরিহার করে সচেতন হলেই দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।