বুধবার ● ১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছায় যথাযথ ভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না।
পাইকগাছায় যথাযথ ভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না।
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় যথাযথ ভাবে সরকার ঘোষিত সামাজিক দূরাত্ব বাজায় রাখার এবং ঘরে থাকা কর্মসূচীর পালন করা হচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী মরনব্যাধী করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বে করোনার আতঙ্ক বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ১১ই মার্চ পর্যন্ত সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছেন সরকার। সেই সাথে সারা দেশ রয়েছে লকডাউনে। তবে পাইকগাছার সড়ক গুলিতে ধীরে ধীরে ভ্যান, ইজি বাইক চলাচল বাড়ছে। এ সকল যানবাহনে ঠাসাঠাসি করে যাত্রি নেওয়া হচ্ছে। মুদি, কাঁচা বাজার করতে গিয়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়াও বিভিন্ন দোকান খোলা হচ্ছে। পাইকগাছার পৌর বাজার মোটামুটি ঠিক থাকলেও সরল, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, বাঁকা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার ব্যবসায়ীরা ঠিকমত নিয়ম মানছে না। তারা তাদের ইচ্ছামত দোকান খুলছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর আগমন দেখে দোকান বন্ধ করছে এবং তারা চলে গেলে আবারও দোকান খুলছে। মেইন সড়কের পাশের বাজার গুলিতে তদরকি বেশি থাকায় গ্রামের ভিতর ওলিগলিতে অবস্থিত দোকান গুলিতে ভিড় বাড়ছে। মানা হচ্ছে না সমাজিক দূরত্ব। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় উঠতি বয়েসি যুবকেরা দল বেঁধে বাজারে বিনা কারনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিকাল বেলা তাদের আনাগোনা বাড়ছে। এদের কোন ভাবেই যেন নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছে না। শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে আসাতে গ্রামগুলোও এখন করোনা ঝুকিতে আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সংক্রমক রোগ বিস্তার রোধে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে সাবান, মাস্ক বিতরন ও জিবানুনাশক ছিটাতে দেখা যাচ্ছে। তবে এসব কাজের চেয়ে ফেসবুকে প্রকার করা হচ্ছে বেশি। কোথাও দু-একটি মাস্ক বা সাবান বিতরন করে ফেসবুকে ঢালাও ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি ভাবে কোন কর্মসূচী হলে সেখানে তাদের কমবেশি উপস্থিত দেখা যাচ্ছে। সংক্রমক রোগ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত নিয়ম নিজে মেনে অন্যকে মানার জন্য সচেতন করতে হবে। তাহলে এই মরন ব্যাধি থেকে রক্ষা পেলে দেশ বাঁচবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সাধারণ জনগণকেও সহযোগীতা করা দরকার। তাহলে বিশ্বব্যাপি মহামারি রোগ করোনা ভাইরাস থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। করোনা ভাইরাস মহামারির গতি এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বাড়তে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই শতর্ক করেছেন। সরকার এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তহ পর্যন্ত ছুটি নির্ধারন, সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেণ্টাইনের বিষয় প্রশাসন কঠর এবং জনগণ সচেতন হলে ঐ সময়ের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রনে আসার বিষয় আশাবাদী বলে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন।