বুধবার ● ৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » করোনার প্রাদুর্ভাবে পাইকগাছার কর্মহীন মালো পরিবারগুলোতে বুক ফাটা হাহাকার
করোনার প্রাদুর্ভাবে পাইকগাছার কর্মহীন মালো পরিবারগুলোতে বুক ফাটা হাহাকার
এস ডব্লিউ নিউজ: পাইকগাছায় করোনার প্রভাবে মালো (জেলে) পরিবারগুলো কর্মহীন হয়ে দুশ্চিন্তা আর হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। নদীতে মাছ ধরতে না পারায় বেকার হয়ে অলস সময় পার করছে। আর এ সব নিন্ম আয়ের দরিদ্র মালো পরিবারগুলো এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী পায়নি বলে জানা গেছে।
উপজেলার প্রায় সাতশত মালো পরিবার আছে। পাইকগাছার হিতামপুর বোয়ালিয়া, নাছিরপুর, কাশিমনগর, নোয়াকাটী, মাহমুদকাটী, বাঁকা, রাড়–লী, শাহাপাড়া মালোপাড়া উল্লেখযোগ্য। এসব গ্রামে বসবাসরত পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস সুমদ্রে মাছ ধরা। বছরের প্রায় ৪/৫ মাস বঙ্গূসাগর মোহনায় দুবলার চরে মহাজনের অধিনে মাছ ধরতে যায়। বছরের বাকী সময় স্থানীয় নদ-নদীতে মাছ ধরে ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গোটা বিশ্ব থমকে গেছে। প্রভাব ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন করা হয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। বোয়ালিয়া মালোপাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের নৌকাগুলি নদীর চরে পড়ে আছে। কাজ না থাকায় বেকার হয়ে তারা হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। হিতামপুর বোয়ালিয়া মালোপাড়ার সাধন বিশ্বাস, পলাশ, সুকুমার , সুভাস, ভদ্র, হরিদাশ, নির্মল, শংকর, প্রদিপ, মন্তু বিশ্বাস মালোপাড়া মন্দির সামনে বসে অলস সময় পার করছে কোন কাজ না থাকায়। এ সময় সুশান্ত বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাস জানান, করোনার কারনে নদীতে মাছ ধরতে পারছি না। আয় রোজগার বলে কোন কিছু নেই। ধার দেনা করে চলছি। তার উপর মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া দাদনের টাকা পরিশোধ করার চাপ দেওয়া হচ্ছে। সংসারে খাবার নেই, তার উপর কাজ না থাকায় বেকার সময় পার করছি। তাছাড়া সরকার থেকে কোন প্রকার ত্রাণ সহায়তাও এখনো আমরা পাইনি। আমরা যাতে বেঁচে থাকতে পারি তার জন্য সরকারের কাছে ত্রাণের দাবী জানাচ্ছি।
উপকুল এলাকায় এসব জেলে পরিবারগুলি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে এসব লোক বেকার অবস্থায় সময় পার করছে। উপজেলার সব থেকে অনগ্রসর ও অবহেলিত জনগোষ্টির মধ্যে জেলে বা মালো পরিবারগুলো উল্লেখযোগ্য। এসব পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে এই মহা বিপর্যয়ের মধ্যে সরকারের প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়ে বেঁচে থাকতে পারে তার জন্য প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।