শনিবার ● ১১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান স্থাপন।। জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী
পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান স্থাপন।। জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী
এস ডব্লিউ নিউজ: পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান আজ বসানো হয়েছে। এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আরো এগিয়ে গেল।
বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ সকাল ৯টায় ৪বি নম্বর স্প্যানটি মাওয়ার সিমান্তবর্তী ও সেতুর মাঝামাঝি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। ফলে, সেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে ৪২০০ মিটারে।
তিনি জানান, আজ সকালে এটি খুঁটির উপর তুলে দেয়া হয়। সেখানে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলন্ত রাখার যন্ত্র) সেট করা ছিল আগে আগেই। খুঁটির উপর সেট করা ছিল বেয়ারিং। এই স্প্যান বসে যাওয়ায় জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী থাকলো। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটিতে ৫এ ও ৫বি নম্বর স্প্যান বসাতে হবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হয়। ড্রেজিং করে বিকল্প চ্রানেল তৈরী করে পরবর্তীতে এখানে খুঁটি বসানো হয়। সর্বশেষ ২৬ নম্বর খুঁটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিগগিরই স্প্যান বসবে।
আজ ২৮তম স্প্যান বসে যাওয়ার পর বাকী থাকলো মাত্র ১৩টি স্প্যান। সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী আগামী নবেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা আছে। তবে, দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে খুঁটির ওপর সব স্প্যান বসে যাবে। দ্বিতল সেতুর ওপরে থাকবে সড়কপথ আর নীচে থাকবে রেলপথ। যা এখন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আরও জানান জানান, পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই, এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। বাইরের কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’। তথ্য ও ছবিঃ বাসস।