রবিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আশাশুনির কোলায় খোলপেটুয়া নদীর পাউবো’র বেড়ীবাঁধ আবারও ভেঙ্গে ৪ গ্রাম প্লাবিত, কর্তৃপক্ষ ছাড়াই বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে
আশাশুনির কোলায় খোলপেটুয়া নদীর পাউবো’র বেড়ীবাঁধ আবারও ভেঙ্গে ৪ গ্রাম প্লাবিত, কর্তৃপক্ষ ছাড়াই বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনির কোলায় প্রবল জোয়ারের চাপে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ আবারও ভেঙ্গে ৪ গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৫/৬ শত একর জমির মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে একাকার গেছে। জানাগেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর প্রায় দেড়/দুই শত ফুট পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে ওই ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং পার্শ্ববর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও হাজরাখালী গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। শনিবার সকালে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের নেতৃতে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনকে সাথে নিয়ে এলাকার শত শত লোক একত্রিত হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় প্রানপন কাজ করছেন। এ খবরে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী ও পিআইও সোহাগ খান ভাঙ্গনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান, বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পাউবো কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় হঠাৎ মধ্য রাতের জোয়ারে বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে চার গ্রামের প্রায় ৫/৬ শত একর জমির মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। ভাঙ্গনকৃত বেড়ীবাঁধে দ্রুত সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও জাকির হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও হাজরাখালী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং বাঁধ বাঁধা নাগেলে নতুন গ্রাম প্লাবিত হবে। এতে প্রায় দেড়/দুই হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে তারা জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান জানান, খোলপেটুয়া নদীর কোলা পয়েন্টে বেড়ীবাঁধ সংস্কারের কাজ টুকটাক করে চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রবল পানির চাপে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এসময় তিনি বেঁড়িবাধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান। এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানাগেছে।