মঙ্গলবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » পাইকগাছা মৎস আড়ৎ খুলে দেওয়ায় শত শত লোকের সমাগম, করোনা আতঙ্কে উপজেলাবাসী।
পাইকগাছা মৎস আড়ৎ খুলে দেওয়ায় শত শত লোকের সমাগম, করোনা আতঙ্কে উপজেলাবাসী।
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছা মাছকাটা খুলে দেওয়ায় শত শত ক্রেতা ও বিক্রেতার উপছেপড়া ভিড়ে সরকার ঘোষিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কর্মসূচী বিফল হতে যাচ্ছে। মাছকাটায় উপছেপড়া ভিড়ে করোনা আতঙ্কে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে পাইকগাছাবাসী। সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে ঠিক তখনি পাইকগাছায় মৎস আড়ৎতে শত শত লোকের সমাগম। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করছেন। সারা দেশে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী মোতায়ন করেছেন। সেখানে পাইকগাছার কর্তা ব্যক্তিরা মৎস আড়ৎতের খোলার অনুমোদন দিয়েছে।
জানাগেছে, করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ পাইকগাছা মৎস আড়ৎ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু ২০ দিন পর ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার মৎস আড়ৎ শর্ত সাপেক্ষে খোলার অনুমোদন দেয়া হয়। মৎস আড়ৎ খোলার পর সেখানে ক্রেতা- বিক্রেতা ও মৎস আড়ৎতের মালিক-শ্রমিক মিলে শত শত মানুষের ভিড় জমতে থাকে। থানার এ এস আই নাছির সহ দু’জন সিপাই ভিড় ঠেকাতে হিমসিম হচ্ছে বলে জানান।
সাংবাদিকরা মৎস আড়ৎতের লোক সমাগমের ছবি তুলতে গেলে কাগুজী মৎস আড়ৎতের মালিক সাওকাত হোসেন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেন এবং অসৌজন্যমুলক আচারণ করে।
পাইকগাছা মৎস আড়ৎদারী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার গাজী বলেন, প্রশাসন কিছু শর্তে আড়ৎ খোলার অনুমোদন দেন কিন্তু সেই শর্ত বিভিন্ন আড়ৎতের মালিকরা মানছে না।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়নার সরকারি ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিব করেননি।
উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলাী বলেন, কিছু শর্তে মৎস আড়ৎ খোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আড়ৎদাররা যদি শর্ত না মানতে পারে তাহলে আইন অনুগ ব্যবস্থা করা হবে। পাইকগাছার মৎস্য আড়ৎ এ সব সময় প্রচুর ক্রেতার সমাগম হয়। ভিড় ঠেলে যাওয়া যেন দূষ্কর। এমতাবস্থায় মৎস্য আড়ৎ চালু থাকলে পাইকগাছার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কর্মসূচী বিপল হবে বলে বিশিষ্টজনেরা ধারনা করছেন। তাদের দাবী সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মানুষকে নিরাপদে রাখতে মৎস্য আড়ৎদার সমিতির কার্যক্রম বন্ধ রাখলে পাইকগাছাবাসী নিরাপদে থাকতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।