সোমবার ● ৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্মা মহাদেব চন্দ্র সানার পরামর্শে চলতি বছর এ উপজেলায় পাটচাষীরা তাদের রোপা পাটক্ষেতে সময়মত পরিচর্যা করার কারণে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এবছর উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা পাট জেআর ৯৭ ও ৯৮ মহারাষ্ট্র এবং রবি-১ জাতের পাট আবাদ করেছে কৃষকরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সময় মত পাট কেটে ঘরে তুলতে পারলে কৃষকরা পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন এমনটাই জানিয়েছেন অধিকাংশ কৃষকেরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখাগেছে সবুজে সবুজে ভরে গেছে বিস্তৃর্ণ মাঠ। এলাকা জুড়ে শুধু পাট আর পাট। আধুনিক এ পদ্ধতির পাট চাষ এলাকা ভেদে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার কৃষকরা স্বল্প খরচে অধিক ফলন পেতে পরীক্ষামূলক ভাবে আবাদ শুরু করে বাম্পার ফলন পাওয়ায় এ বছরে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছে। উপজেলার মঙ্গলকোট, কেশবপুর সদর, পাঁজিয়া, বিদ্যানন্দকাটি, সুফলাকাটি, মজিদপুর, গৌরিঘোনা, সাতবাড়িয়া, ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি, হাসানপুর ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকরা এ পদ্ধতির পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ব্রহ্মকাটি গ্রামের আব্দুল লতিফ, তারিফ মোড়ল, ভালুকঘর গ্রামের বিলাল হোসেন বলেন, আমরা অনেক বছর আগে থেকে এ পদ্ধতিতে পাটের আবাদ করছেন। এ বছরও আমরা পাট চাষ করেছি। ১৫ চৈত্র বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানের বীজ তলার মত পাটের বীজতলা তৈরী করে বীজ রোপন করেন। ২২ দিন বয়সের চারা তুলে ক্ষেত তৈরী করে নির্দিষ্ট ব্যবধানে পাটের চারা রোপণ করেছেন। তারা আরো বলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সুন্দর পরিবেশে পাট ঘরে তুলতে পারবো এবং লাভবান হবো। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, এবার উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করেছে কৃষকরা। সময় মত পাট কেটে তারা ঘরে তুলতে পারবেন এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষকরা পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন। এবছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।