বুধবার ● ১ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনিতে ভূয়া মৎস্যজীবির জলমহল ইজারা দরপত্র বাতিলসহ পাকা বাড়ী নির্মাণ উচ্ছেদের দাবীতে মানববন্ধন
আশাশুনিতে ভূয়া মৎস্যজীবির জলমহল ইজারা দরপত্র বাতিলসহ পাকা বাড়ী নির্মাণ উচ্ছেদের দাবীতে মানববন্ধন
আহসান হাবিব, আশাশুনি :
আশাশুনিতে ভূয়া মৎস্যজীবি সেজে জলমহল ইজারা নিয়ে অবৈধভাবে পাকা বাড়ী নির্মাণ করে প্রকৃত মৎস্য জীবিদের সাথে প্রতারণা অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আশাশুনি কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি সৌধ’র সামনে উপজেলা পরিষদ রোডে ভূক্তভোগী প্রকৃত মৎস্যজীবি (জেলে) ও এলাকাবাসি দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য চন্ডী চরণ গাইন, খোকন মোল্যা, তাপস মন্ডল, ফারুক মোল্যা, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তবা বলেন, আশাশুনির দুর্নীতি ও জালের আখড়া, মামলাবাজ ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন গং কর্তৃক ভূয়া মৎস্যজীবি (জেলে) সেজে প্রকৃত মৎস্য জীবিদের সাথে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে যাচ্ছে। সরকারী নীতিকে তোয়াক্কা না করে ধাড়িয়াখালী খাল ও হেতাইলবুনিয়া জলমহালের উপর অবৈধভাবে ছাদ বিশিষ্ট পাকা বাড়ী নির্মাণ দিদাচ্ছে বসবাস করে যাচ্ছে। ভুয়া মৎস্যজীবি সেজে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে নিবন্ধন বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত সত্য উঘাটন করে নিবন্ধন বাতির না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোল অব্যহত থাকবে। প্রকৃত পক্ষে নীলকন্ঠ গাইনের হেতাইলবুনিয়া যুব সমবায় সমিতি নামে প্রথমে সমিতি ছিল। দীর্ঘদিন নীলকন্ঠ গংরা অবৈধভাবে বড়দল ইউনিয়নের ধাড়িয়াখালী ও হেতাইলবুনিয়া খাল জলমহাল দখল করে রাখলে তদককালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৬ আগষ্ট’০৯ তারিখে উ:নি:অ/আশা/৯-১/০১-৭৭২(৩) স্বারকের তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু মামলাবাজ ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন ২০ আগষ্ট’০৯ তারিখে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করে অতি: জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)’র আদালাতে ৮৯/০৯ (খাস) নং মিস মামলা দায়ের করেন। তৎকালিন সরকার শুধুমাত্র প্রকৃত মৎস্যজীবি সমিতির মধ্য ইজারা দেয়ার জন্য ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সেজে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে নিবন্ধন করেন। ভুমি মন্ত্রণালয়ের (শাখা ৭) ২৩ জুন’০৯ তারিখে প্রকাশিত সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ভু:ম:/শা-৭বিবিধ (জল) ০২/২০০৯-১৯১ এর ২(খ) ও ৫ এর ধারা মতে নীলকন্ঠ গাইন গংরা আদৌ যোগ্য নহে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানাগেছে নীলকন্ঠ গাইনসহ তার সমিতির অন্যন্য অন্যান্য সদস্যগণ সনাতন ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের লোক। কিন্তু, লোভের বসবর্তি হয়ে নিজের ধর্মকে ভুলণ্ঠিত করে ভুয়া জেলে সেজে মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে রেজিষ্ট্রেশন করেন। মানববন্ধনে বক্তাগন আরো বলেন, মামলাবাজ ও তথ্য গোপনকারী ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন ধাড়িয়াখালি ও হেতাইলবুনিয়া খাল জলমাহলটি কুট-কৌশলে শ্রেনী পরিবর্তন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ৯৩৪ দাগে ৬ শতক খাল ভরাট করে ছাদবিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে যাচ্ছেন। সমিতির অন্যান্য সদস্যরা দীর্ঘদিন দখলে রেখে খাল ভরাট করে বা বেড়িবাঁধ দিয়ে পয়:নিষ্কাষন বন্ধ করে জলমহালের খাল শ্রেনীকে বাড়ী, লেট্রিন, খেত, পুকুর ণীকে দিয়ে পুকুর তৈরি করে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে যাচ্ছে। যাহা সরকারি জলমহল ইজারা নীতিমালার পরিপন্থী। মানববন্ধনে বক্তাগন এ সব ঘটনা সঠিক তদন্তপূর্বক অনতিবিলম্বে নিবন্ধন ও নতুন ইজারা দরপত্র বাতিলপূর্বক প্রকৃত মৎস্যজীবিদের সাথে প্রতারনার বিচার ও সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মান উচ্ছেদের দাবী জানিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।