রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিচার পক্ষে না যাওয়ায় ইউপি মেম্বার এর উপর হামলা,আহত ৫
বিচার পক্ষে না যাওয়ায় ইউপি মেম্বার এর উপর হামলা,আহত ৫
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
বিচার পক্ষে না যাওয়ায় ইউপি সদস্য এর উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।এতে ইউপি সদস্য সহ ৫ জন আহন।গুরুতর অবস্থায় ৫জনকে স্হানীয় মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়,।তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আংশকা জনক।
আহতরা হলেন জাহাঙ্গীর মল্লিক(৪০),রাহাত ইজারাদার (২২),আলোমগীর মল্লিক(৪৪),জাহিদ মল্লিক(৩৪),আতিয়ার মল্লিক(৪০)।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের পার্থ সরকার (২৫) এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্থ ওই মেয়েটিকে স্ত্রীর হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে পার্থর সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সালিশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক, মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল হাওলাদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পার্থ তাৎক্ষণিক বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু বিচার তাদের পক্ষে না যাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথিমধ্যে মালগাজী মিশনবাড়ীর মোড়ে সালিশ বৈঠকে থাকা ইউপি সদস্য ও তাঁর সঙ্গে লোকজনের ওপর হামলা চালায় পার্থ ও তাঁর লোকজন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউপি সদস্য সহ ৫ জনকে জখম করে।
পরে আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত আলমগীর মল্লিক, রাহাত মল্লিক ও জাহিদ মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘সালিশ মনমতো না হওয়ায় সাবেক ইউপি সদস্য রেজি সরকার,ছাত্রদল নেয়তা রিয়াদ মাহমুদ সহ পার্থ তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এর মধ্যে আমার ভাই আলমগীর মল্লিকের অবস্থা খুবই খারাপ। রাহাত, জাহিদ ও তাঁকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য রেজি সরকার বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক।আমি এ মারামারি সময় সেখানে উপস্হিত ছিলাম না।
এ ঘটনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তারা সবকিছু দেখেশুনে এসেছে।ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক এর কাছ থেকে ৭ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।মামলার পক্রিয়া চলছে।