সোমবার ● ১৩ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমন বীজের তীব্র সংকটঃ কৃষক দিশেহারা।
পাইকগাছায় আমন বীজের তীব্র সংকটঃ কৃষক দিশেহারা।
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ পাইকগাছায় আমন বীজ ধানের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বাজারে বিআর-২৩ ও বিআর-৫২ জাতের ধানের বীজ পাচ্ছে না। ডিলারদের কাছে আগাম টাকা দিয়েও এ জাতের ধান বীজ না পেয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ দিকে বিএডিসির বিআর-২৩ জাতের বীজ ধানের সরবরাহ না থাকার সুযোগে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা বীজ উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। কোম্পানির বীজের মূল্যের বাজারে কোন নিয়ন্ত্রন নেই। সময়মত বীজ ধান না পেলে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। এ কারনে উপজেলার আমনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বিএডিসির ১০ কেজির বীজ ধানের বস্তা তিনশ টাকা মূল্যে। তবে বীজ সংকটে ১২-১৩’শ টাকা মূল্যে বীজ বিক্রয় হলেও বর্তমানে বীজ মিলছে না। কৃষকরা আশে পাশের উপজেলা থেকেও বীজ সংগ্রহ করতে পারছে না। কৃষকরা সরকারের কাছে দ্রুত বীজ সংকট সমাধানের দাবী জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে। এর জন্য ১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত ৩শত হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী হয়েছে। উপজেলা লবনাক্ত চিংড়ী লীজ ঘের গুলিতে নাবিতে আমন আবাদ করা হয়। লবনাক্ত মাটিতে বিআর-২৩ জাতের ধানের ফলন ভালো হয়। এ জন্য উপজেলায় প্রায় ৯৫% কৃষকের চাহিদা বিআর-২৩ ধানে। তবে ধান বীজ না পেয়ে কৃষকরা মহাসংকটে পড়েছে। উপজেলার পুরাইকাটী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, বাজারে ধান বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে ১২/১৩শ টাকা দরে ধান বীজ ক্রয় করলেও এখন টাকা দিয়েও বাজারে বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। সময়মত বীজ না পেলে আমন আবাদের অনেক জমি পতিত থেকে যাবে। উপজেলার বিএডিসির বীজ ডিলার রাম প্রসাদ পাল জানান, বিআর-২৩ ধানের কিছুট সংকট দেখা দিয়েছে। বিআর-৩৯, বিআর-৪৯ ধানের বীজ রয়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধানের বীজ পাওয়া যাবে, বীজের কোন সংকট দেখা দিবে না। জানা গেছে, উত্তর অঞ্চলে বন্যা চলছে। বন্যার জন্য বিএডিসি বীজ সংরক্ষন করে রেখেছে। বন্যার উন্নতি হলে দক্ষিণ অঞ্চলে বীজ সরবরাহ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবীদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিআর-২৩ বীজ ধানের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে, তবে আগামী বুধ/বৃহষ্পতিবার বীজ ধান পাওয়া যাবে। আমাদের উপজেলার একশত মেট্রিকটন বীজ ধানের অনুমোদন হয়েছে। বীজের জন্য আমন আবাদের কোন অসুবিধা হবে না। কৃষকরা তাদের চাহিদামত বীজ ধান পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।