মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » রাজনীতি » যশোর-৬ উপনির্বাচনে নৌকার বিজয়
যশোর-৬ উপনির্বাচনে নৌকার বিজয়
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসব মুখর পরিবেশে যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স¤পন্ন হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। বেসরকারি ভাবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার ১ লাখ ২৪হাজার ৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ ২ হাজার ১২ ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ ভোট। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুররশিদ। করোনা ভাইরাস ও প্রচন্ড রোদ এবং গরমের মধ্যে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে হাজার হাজার ভোটাররা দীর্ঘ লাইন দিয়ে তাদের প্রার্থীকে ভোট দিলেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কোন পোলিং এজেন্ট সহ কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়নি।
এদিকে প্রতিটি কেন্দ্রেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক ¯েপ্রর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু কয়েকটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এ উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ (ধানেরশীষ), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থী হাবিবুর রহমান (লাঙ্গল)। তবে বিএনপি এই উপ-নির্বাচনে করোনাকালীন সময়ে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন থেকে সরে আসে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করায় জাতীয় সংসদে ২৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে এ আসনে ২৯ মার্চ উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য করে ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ২১ মার্চ এ আসনটির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ মাসের ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন থেকে ফের ১৪ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ঘোষণা করেন।
বিজয়ী শাহীন চাকলাদার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জননেত্রী শেখহাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার পরে কেশবপুরের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি নেতাকর্মী ও জনগণ আমাকে গ্রহণ করেছেন। সেই দায় ভার মাথায় রেখে আমি কেশবপুরের উন্নয়নে কাজ করবো।