শুক্রবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, কোন সংকট নেই -খাদ্যমন্ত্রী
খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, কোন সংকট নেই -খাদ্যমন্ত্রী
এস ডব্লিউ নিউজ:
‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’ এর মাধ্যমে খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী আজ (শুক্রবার) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা প্রান্ত থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে কোন খাদ্যের সংকট নেই। এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য মজুদ ও কৃত্রিম সংকট করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, রাইস মিল মালিকরা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তরসহ এর সকল দপ্তরসমূহ অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। ভর্তুকি দেয়াসহ নানামূখী পদক্ষেপের কারণে দেশ কৃষিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশেও রফতানি করছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। করোনায় দেশের কোন জনগণ না খেয়ে মারা যায়নি। যার যার স্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
জুম অ্যাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। জুম অ্যাপে যুক্ত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, জেলা রাইস মিলস মালিক সমিতির সভাপতি মুহা: মুস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জুম অ্যাপে যুক্ত ছিলেন খুলনার সকল উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
এই অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা হলো: চুক্তির নির্ধারিত শর্তাবলির সাপেক্ষে উপযুক্ত মিলারদের নিকট থেকে স্বচ্ছতার সাথে চাল ক্রয় নিশ্চিত, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত এবং সহজেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে, নির্ভুল হিসাব সংরক্ষণ ও সকল প্রকার নথি চলাচল দুর্নীতিমুক্ত, চাল সরবরাহে মিলারদের ভোগান্তির অবসান, ব্যাংকের পুর্নভরণকৃত বিল প্রদানে দ্রুততা আসবে এবং একই সাথে ব্যাংক সুদের হ্রাস ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি হ্রাস পাবে, চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগোপযোগী এবং কাজের ক্ষেত্রে অধিকতর সহজ হবে, কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ সহজতর হয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং কার্যকারী হবে এবং জেলা পর্যায়ে সার্বিক রাইস প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃংখল ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজতর হবে।