শনিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » রাজনীতি » রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাগেরহাটের কৃতি সন্তান মোতাহার হোসেন প্রিন্স
রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাগেরহাটের কৃতি সন্তান মোতাহার হোসেন প্রিন্স
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, বাগেরহাট
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাদির খোলা তিপুলবুনিয়া গ্রামে এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মোতাহার হোসেন প্রিন্স।তার পিতার নাম মোঃ মোস্তফা আমীর হোসেন।চাকুরী জীবনে তার পিতা ছিলেন একজন সরকারী কর্মকর্তা।তিনি ছিলেন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ফ্যামিলি প্লানিং কর্মকর্তা। চার ভাই ও এক বোন এর সংসারে মোতাহার হোসেন প্রিন্স ছিলো সেজো। ছোট বেলা থেকেই মোতাহার হোসেন প্রিন্স ছিলো দুরন্ত ও মেধাবী। স্কুল জীবন থেকেই সে ছিলো খুব মেধাবী ছাত্র।
খেলাধুলার প্রতি ও তার আগ্রহ কম ছিলো না একজন ভালো খেলোয়াড় হিসাবেও এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিত ছিলো। পাশাপাশি রাজনীতিতে সে ছিলো সক্রিয় স্কুল জীবনে সে কাদির খোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়ে সে ভর্তি হয় বাগেরহাট জেলার সেরা বিদ্যাপিঠ বাগেরহাট পিসি কলেজে। পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নিয়মিত। পড়াশোনার পাশাপাশি পিসি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোতাহার হোসেন প্রিন্স।উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়ে সে ভর্তি হয় বাংলাদেশের সর্বশ্রেস্ঠ বিদ্যাপিঠ। উপমহাদেশের অক্সফোর্ড ক্ষ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও থেমে থাকেনি তার রাজনীতী।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি হলে থেকেই পড়াশোনা করতেন।তিনি থাকতেন জিয়াউর রহমান হলে।হলে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে তার হাতে খড়ি।প্রথমে তিনি হল কমিটি ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন।বেশ কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি।এরপর তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে অল্প দিনের মধ্যেই সে জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পান।দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের ছাত্রদের দের সকল ন্যায় সংগতি পূর্ণ দাবি আদায়ের পেছনে তার ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়।দলীয় কর্মকাণ্ডে ও তার ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।আস্তে আস্তে তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সে হয়ে ওঠে একজন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।স্লোগান মাস্টার হিসাবেও পরিচিত লাভ করে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।তার যোগ্যতার কারনেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নজরে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর পরই তার কর্মদক্ষতা দিয়ে জয় করে নেন তার ক্যাম্পাস এর সকল ছাত্রছাত্রী দের মন।সবার কাছে তিনি পরিচিত হন অসহায় এর বন্ধু হিসাবে।দীর্ঘ দুই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।এ দুই বছর কোন অন্যায় বা দূর্নীতির সাথে আপোষ করে নাই মোতাহার হোসেন প্রিন্স।তার আমলে তিনি ক্যাম্পাস সহ আশেপাশের এলাকা মাদক মুক্ত করেছেন।সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যেন নির্ভয়ে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারে সেদিকে সে বিশেষ ভাবে নজর রাখতেন।যে কোন ধরনের অন্যায় ও দূর্নীতির হাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করাই ছিলো তার মূল লক্ষ্য। বর্তমানে সে যুবলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে রয়েছে।
খুব শ্রীগ্রই যুবলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কমিটিতে সকলের আশা জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই একজন দক্ষ্য,সৎ,সাহসী,জনবান্ধন ছাত্রনেতা বর্তমান যুবলীগ নেতা মোতাহার হোসেন প্রিন্স কে তার যোগ্যতম স্হানে বসাবেন।
কোন পোস্ট এর চাহিদা বা পছন্দের কোন পোস্ট চান কিনা কেন্দ্রীয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে কোন পোস্টের প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা উনিই আমার অবিভাবক উনি যেটা ভালো মনে করবেন আমি সেটাই মেনে নেবো। আমি কোন পোস্ট চাই না আমি চাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার কর্মী হয়ে সারা জীবন আপার পাশে থেকে জনগনের কল্যানে কাজ করতে।