শনিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে বিচালি সংকট চরমে বিপাকে খামারিরা
কেশবপুরে বিচালি সংকট চরমে বিপাকে খামারিরা
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুরে গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য বিচালির সংকটের কারনে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ গরু খামারিরা। লোকসানে বিক্রি করছে গরু। গত ৩ বছর ধরে নদীখনন কাজ চলমান থাকায় নিচু এলাকার জলাশয়গুলোতে আমন ও বোরো আবাদ না হওয়া ও সম্প্রতি ঝড় ও অবিরাম বৃষ্টিতে বিচালি ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বিচালির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ৫০০ টাকায়ও মিলছে না এক পন বিচালি। দিশেহারা হয়ে খামারি ও চাষিরা লোকসানে বেচে দিচ্ছেন গরু। বোরো ধান ঘরে তোলার সময় ঝড় ও অবিরাম বৃষ্টির সাথে শ্রমিক সংকটে চাষিরা সময়মতো ঘরে ধান তুলতে পারেনি। ক্ষেতেই ভিজে বিচালি নষ্ট হয়েছে। ফলে মানুষের প্রধান খাবারের যোগান মিটলেও গবাদি পশুর খাবার বিচালির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এ উপজেলায় খামরের মাধ্যমে কিছু মানুষ গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকে। এর বাইরে প্রতিটি পরিবার অনন্ত একটি করে গরু মোটাতাজাকরণ করে পরিবারে সচ্ছলতার যোগান দেয়। কিন্তু বর্তমান গবাদিপশুর প্রধান খাবার বিচালির তীব্র সংকটসহ অন্যান্য সুষম খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ভোগতী গ্রামের খামারি বাবু বলেন, বিচালির অভাবে গবাদিপশু পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বেশি দাম দিয়ে কোন রকম বিচালি কিনে আনলেও গরুর পেট ভরছে না, গরু শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানের কুঁড়ো, গমের ভূষি, সরিষার খৈলের দামও রেড়েছে অস্বাভাবিক। মাসখানেক আগে বিচালির পোন ছিল ২৫০ টাকা, তা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা। এ অবস্থায় খামারি ও চাষিরা বিচালির অভাবে কম দামে গরু বেচে দিচ্ছেন। একমাস আগে দেশি যে গরুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।এ বিষয়ে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. অলোকেশ কুমার সরকার বলেন, এ উপজেলায় ১৯২টি গরুর খামারে ৯০ হাজার গরু রয়েছে। এতে প্রতিদিন ১৮০ মেট্রিক টন খড় লাগে। খড়ের চাহিদা মিটাতে ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ইতোমধ্যে ১২শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।