শুক্রবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » কেশবপুরে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম
কেশবপুরে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে তড়িত গতিতে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। দ্রব্য মুল্যের এই চড়া দাম নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে। প্রশাসনের দূর্বল ভুমিকার কারনে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্তিম সংকট দেখিয়ে ক্রেতাদের বুকা বানোনোর সাহস পাচ্ছে।
মহামারি করোনা কেশবপুরের নি¤œ ও মধ্যম আয়ের মানুষকে আর্থিকভাবে একেবারে পঙ্গু করে ফেলেছে। তাছাড়া কর্মহীন এই সমস্ত মানুষের ঘাঁড়ে চেপে বসেছে কিস্তিওয়ালারা। তারপর কাঁচাবাজারসহ নিত্য পন্যের দাম যে ভাবে বাড়ছে, আর কিছু দিন এই অবস্থা থাকলে ভিটে-বাড়ী বিক্রি করে সংসার চালাতে হবে । জিনিস পত্রের দাম মানুষের একেবারে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটছে এই সব নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষদের। সংসার চালাতে তারা চোখে শস্যের ফুল দেখছে। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, দিন গেলেই যেন জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সময়মত এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সংসার চালাতে ভবিষ্যতে তাদের পথে নামতে হবে। বৌ-বাল বাচ্ছাদের মুখে দু বেলা দু মুঠো আহারের জন্য ধারদেনা করে ছুটতে হচ্ছে বাজার করতে। বজারে এসে জিনিস পত্রের দাম শুনলে মাথা যেন ঘুরে যাচ্ছে। কাঁচা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করোনাকালের থেকেও এবার আরো বেশি মূল্যে নিত্য পন্য বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকার চাউল ৫৫ টাকা, ৪০ টাকার পেয়াজ ১০০ টাকা, ৭০ টাকার তেল ১০০ টাকা, ২০ টাকার আলু ৫০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁচা ঝাল ২৪০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা,টমেটো ১৩০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা,ফুলকপি ১৪০ টাকা, পেপে ৪০থেকে ৪৫ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে জিনিস পত্রের দাম দুই থেকে তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য মানছে না কোন দোকান্দাররা। সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারী এই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে তারা ক্রেতাদের জিম্মি করে ইচ্ছামত দাম নিচ্ছে। শহরের খুচরা ও পাইকারী বাজারে কোন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারনে ত্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বাড়ার ব্যাপারে দোকান্দাররা বলেন, বিশেষ করে ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও মুষলধারার বৃষ্টির ফলে কাঁচা তরিতরকারীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নতুন ফসল উঠলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার আবার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে।