শুক্রবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » প্রান্তর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি; প্রান্তর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া : ওসির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
প্রান্তর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি; প্রান্তর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া : ওসির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় ছাত্রলীগ কর্মী ও কলেজ ছাত্র প্রান্ত ঘোষ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় কোন মামলা করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওসি মোঃ এজাজ শফী ও ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ গড়ইখালী হাই স্কুলের এক স্কুল ছাত্রী ও তার বাবাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। খোজ নিয়ে জানাগেছে, এলাকায় প্রান্ত’র মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গড়ইখালী সহ এলাকার উঠতি বয়সের অনেক চিহ্নিত যুবক এলাকা ছেড়েছেন।
সরেজমিনে জানাগেছে, গত বুধবার রাতে প্রান্ত গড়ইখালী খেয়াঘাট সংলগ্ন মটরষ্টান্ড মোড়ের এক চা দোকানীর মেয়ে স্কুল ছাত্রীকে তার মটর সাইকেল থেকে নামিয়ে দেবার পর-পরই পিছন থেকে মটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক তাকে ধাওয়া করে। অজ্ঞাত মোবাইলের মাধ্যমে খবর পেয়ে গড়ইখালী-পাইকগাছা সড়কের লস্কর ইউপির উত্তর খড়িয়া সুকুমার ডাক্তার মোড়ে রাস্তার উপর রাখা বালিতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রান্ত দ্রুত গতিতে এসে বাঁশের ব্যারিকেটে ধাক্কা খেয়ে বলির উপর সটকে পড়ে আঘাত পান। এর সাথে-সাথে পিছন থেকে মটরসাইকেল থেকে নেমে কয়েকজন যুবক প্রান্তর বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। প্রথমে এ ঘটনা মটরসাইকেল দুঃর্ঘটনা বলে প্রচার দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রান্ত’র শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনায় নেওয়া হয় এবং বেসরকারী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার অকাল মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় লস্কর ইউপি সদস্য অরবিন্দ কুমার মন্ডল জানান, আমি বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর বসে ছিলাম।চেঁচা-চেঁচির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। এ সময় আহত ঐ যুবকের কপাল বেয়ে রক্ষ ঝরা অবস্থা মোবাইলে দেখছিল এবং তার এক পায়ের জুতা ও মটরসাইকেলের চাবি খুঁজছিল। এর পর তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থ্যা করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা বলে ওসি মোঃ এজাজ শফী জানান, তবে তথ্য উদঘাটনের জন্য গড়ইখালীর খালেক মোল্যার ছেলে দিদারুল মোল্যা ও তার ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া কণ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় কোন মামলা করেননি।